ককটেল বিস্ফোরনে দুইচোথ ক্ষতিগ্রস্থ : মহরমীর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গনকা বিদিরপুর মহল্লায় ককটেলকে খেলনা ভেবে খেলার সময় বিস্ফোরনে কবজি হারানো মহরমী আক্তার মায়ার চোখে এখনো ফেরানো যায়নি দৃষ্টিশক্তি। মিরপুরের বাংলাদেশ আই হসপিটালে দুই দফা চিকিৎসা শেষে বর্তমানে মহরমীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মহরমীর চোখের আলো ফেরানোর ক্ষীন আসা নিয়েই ব্যায়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন দরিদ্র পরিবারটি।

একসময় প্রাণচঞ্চল মহরমীকে এখন শুয়েই কাটাতে হয় সময়। মায়ের সহযোগিতা নিয়েই চলছে তার সব প্রত্যাহিক কাজকর্ম। মহরমীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে শুয়ে আছেন মহরমী, পাশেই বসে আছে তার মা মাসকুরা খাতুন।
মহরমীর মা মাসকুরা খাতুন বলেন, ‘মহরমী বলে মা তুমি আমার কাছে বসে থাকো’। সারাদিন শুয়ে থাকতে থাকতে ওর ক্লান্তি চলে আসছে, তখন একঘর থেকে মাঝে মধ্যে অন্যঘরে নিয়ে যায়।’



আমাদের কথাবার্তা শুনার একপর্যায়ে, মহরমী বলে উঠে ‘‘ আমি খালি আমার চোখ দুটা চায়, আর কিছু চায় না, খালি আমার চোখ দুটা দেন আপনারা।’ এ আকুতি জানাতে গিয়ে কান্নায় ভিজে যায় মহরমীর চোখ দুটো।
মহরমীর মা মাসকুরা খাতুন বলেন, ১ ফেব্রুয়ারী ককটেল বিস্ফোরনে মহরমীর কবজী উড়ে যায়, এসময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় হয়। সেখানেই পরে দেখা যায় চোখও মারাতœক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরপর রাজশাহী থেকে চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছি। মিরপুরের বাংলাদেশ আই হসপিটালে প্রফেসর ডা. গোলাম রসুলের কাছে দেখাচ্ছি। দুইবার দেখানো হয়েছে, চোখের ড্রপসহ ঔষধ দিয়েছেন। আবার আগামী মাসে যাব। আমি তো মা শতকষ্ট হলেও মেয়ের চোখের চিকিৎসা করার চেষ্টা করছি, শেষ পযন্ত করে যাবে,বাকিটুকু আল্লাহ ইচ্ছা।
মহরমীর দাদা আব্দুল কাইয়ুম জানান, ‘ তাদের ডাক্তার বলেছে দুইটা চোখের মধ্যে একটা চোখে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেই আশাতেই চিকিৎসা করে যাচ্ছেন’। ডাক্তার বলেছে প্রায় ৩ লাখের উপরে খরচ হবে। সেজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়ে দরখাস্থ করেছি’।
মহরমীর এক হাতের কবজী তো কেটে ফেলতে হয়েছে, এখন যদি চোখটাও অন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মেয়েটার জীবনটা কিভাবে বাঁচবে। আপনারা সবাই দুয়া করবেন যেন আমার মহরমী আবারো দেখতে পায়।
প্রসঙ্গত ১ ফেব্রুয়ারী বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মহনা বিদিরপুর মহল্লায় খেলনা ভেবে পরিত্যাক্ত ককটেল নিয়ে খেলার সময় ১১ বছর বয়সী মহরমী আক্তার মায়ার কবজী উঠে গিয়েছিল। মহরমী স্থানীয় গনকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ত। এই ঘটনায় মহরমীর তিন বছর বয়সী ছোট বোন মারিয়া খাতুনও আহত হয়। মারিয়া এখন সুস্থ।

 

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7