শফিকুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৪০দিনের কর্মসুচীর প্রায় আড়াই কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে। যা মোট টাকার ৮০%।ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে শাহাবাজপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদচেয়ারম্যান কর্মসূচির প্রকল্প তালিকায় দরিদ্র ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করেননি। এছাড়া বাকি ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ অনেক দেরীতে তালিকা দেয়ায় কর্মসুচীর কাজ অনেক দেরীতে শুরু হয়েছে।ফলে কোন ইউনিয়নে তিনদিন, কোন ইউনিয়নে চারদিন, কোন ইউনিয়ন১২ দিন, আবার কোন ইউনিয়নে সব্বোর্চ ১৪দিন কাজ করতে পেরেছে। অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে কর্মসূচীর মেয়াদ শেষ হযেছে গত ৩১জানুয়ারী।শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩হাজার ৭শ জন।সুনির্দিষ্ট সময়ে ইউপি চেয়ারম্যানগন তালিকা না পাঠানোর কারনে কর্মসূচির বরাদ্দের ৩ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকার মধ্যে আড়াই কোটি টাকা অর্থাৎ মোট টাকার ৮০ ভাগ টাকা ফেরত চলে যাচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে। এতে কর্মহীন শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছে।মৌসুমে দুস্থ পরিবারের স্বল্প মেয়াদী কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রায় ৩হাজর ৭শ শ্রমিক। কর্মসূচির কাজ বাস্তবায়ন হলে প্রত্যেক শ্রমিক পেতেন ৮ হাজার টাকা।তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে- এর আগে কর্মসূচির তালিকায় শ্রমিকদের নাম থাকলেও বাস্তবে কাজ করানো হয়েছে বাইরের শ্রমিক দিয়ে। ৪০ দিনের কর্মসূচিতে প্রকল্প তালিকার শ্রমিক দ্বারা কাজ না করিয়ে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ।যা প্রকল্পের নিয়ম বহির্ভূত কাজ। তাই প্রকল্পের চলমান কাজে হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণেরজন্য যথারীতি উল্লেখ রয়েছে। এদিকে গেল অর্থবছরের পাঁকা ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ বাস্তবায়ন হলেও এখনো টাকা পাননি ১৩০জন শ্রমিক।অথচ ওই টাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফেরত যায়নি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, একটি ঘটনার তদন্তের জন্য টাকা আটকা পড়ে আছে।তবে এটাকা শ্রমিকরা পাবে। বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বঞ্চিত শ্রমিকেরা।কয়েকজন চেয়ারম্যান জানায়, অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার জটিলতার কারণে শ্রমিকদের তালিকা দিতে বিলম্ব হয়েছে।আর কয়েকজন চেয়ারম্যন ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম কর্মসূচির ৮০ভাগ টাকা ফেরত যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার শাহাবাজপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়ন থেকে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পে শ্রমিকদের নামের তালিকা না দেয়া এমন ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আ লরাব্বী জানান, টাকা ফেরত যাবার মূল কারণ হলো দুটি। একটি হলো যেখানে কাজ করার কথা সেখানে তদন্ত করে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। যাদের পাওয়া যায়নি তাদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেয়া হয়েছে। অন্যটি হলো সঠিক সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ শ্রমিকদের তালিকা না দেয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তাই মেয়াদ পর্যন্ত যে কয়দিন কাজ করা সম্ভব হয়েছে সেদিনের পারিশ্রমিক পাবে। বাকীটা টাকা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে ফেরত যাবে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment