আজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির
জন্মদিন,দিনটি
আমার
ও
আমাদের
কাছে
খুবই
আনন্দের, দেখতে
দেখতে
নিরবেই
চলে
গেল
তিনটি
বছর।
নিউ
মিডিয়ার ধারণা
নিয়ে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রথম
ওযেব
টিভি
‘‘ চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভি’’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটি
ও
মানুষের প্রতিচ্ছবি স্লোগান ধারণ
করে
নিরবে
পথচলা
এ
গণমাধ্যমটি কতটা
গণমাধ্যম হয়ে
উঠতে
পেরেছে
...
উত্তর
না
পারেনি..
বলতে
দ্বিধা
নেই
যে
পরিকল্পনা নিয়ে
আমরা
পথ
চলেছি,
তার
অনেকটায় পথই
আমাদের
এখনো
অদেখা।
আমরা
এখনো
পক্ত
কোন
ভিতে
দাঁড়াতে পারেনি। তাই
যখনই
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির
জন্মদিনটি এসেছে,
তখনই
হতাশা
ঘিরে
ধরেছে,
আমাকে।
ভেবেছি
অন্যরা
যখন
বড়
বিনিয়োগ নিয়ে
মাঠে,
তখন
আমরা
শুধুই
মনের
জোরে
এগুতে
চায়ছি।
এই
মনের
জোর
যদি
হয়
আমাদের
বড়
বিনিয়োগ, আর
কিছু
মানুষের ভালোবাসা আমাদের
প্রাপ্তির খাতায়,
এই
নিয়েই
পথ
চলা
কতটা
সময়
সম্ভব
প্রশ্ন
রয়েই
যায়...
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
শহর
থেকে
একটি
গণমাধ্যম পরিচালনা করার
স্বপ্ন
দেখাও
অনেকে
বলেন
কঠিন,
অনেকটায় সঠিক।
এই
কঠিন
বাস্তবতার পরও
আমি
ঠিকই
কজন
সুজনকে
পেয়েছি,
যারা
আমার
সাথে
স্বপ্ন
সারথি
হয়ে
হেটেছেন, কেউ
কেউ
এখনো
হাটছেন।
কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়, আলি আশরাফ স্যারকে, মামুন আব্দুল কাইয়ুম স্যারকে... যাদের কথায় আমার প্রথম মনে হয়েছিল কিছু একটা করি, চেষ্টা করি চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটা সত্যিকারের গণ মানুষের,জনঅংশগ্রহণের গণমাধ্যম গড়ে তোলার।
এরপর
সেই
স্বপের
প্রথম
দিকের
স্বপ্নসারথি সাজিদ
তৌহিদ
ভাই,
আজমাল
হোসেন
মামুন
স্যার,
নাহিদুল হক,
রাসেল
রহমান,
জাফর
জয়নাল,
নিলুফা,জাহাঙ্গীর, নিঝুম,আবুল কালাম, তাহমিদ, জুবায়ের সহ বেশ
কজন।
সময়ের
প্রয়োজনে কয়েকজন
ভিন্ন
প্লাটফরমে এখন,
তাদের
জন্য
সবসময়ই
শুভ
কামনা।
আমাদের
নিবর
পথচলায়,
অনেক
প্রিয়জন আমাদের
সহযোগিতা করেছেন,পরামর্শ দিয়েছেন। পথে ঘাটে অনেকটা
কথা
প্রসঙ্গে অনেক
সময়ই,
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র
সাংবাদিক আনোয়ার
হোসেন
দিলু,
বলেছেন
‘‘দেখ
কারো
তেলবাজী যেন
না
হয়,
পারলে
ভাল
কিছু
করার
চেষ্টা
কর’’।
আর
সাম্প্রতিককালে বিশেষ
করে
আমাদের
সংবাদ
বিভাগের উৎকর্ষতা সাধনে
যে
মানুষটি পেছন
থেকে
অনেক
সহযোগিতা করেছেন,
তিনি
মিথুন
স্যার।
সংবাদ
বিভাগের কথা
যখন
হচ্ছে
তখন,
কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়,
জাহাঙ্গীরের প্রতি,
সে
প্রথম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির
সংবাদ
পড়েছিল,
এরপর
নিলুফা,
নিঝুম,
কালাম,
কদিন
আলি
আশরাফ
স্যারও
পড়েছেন
আমাদের
সংবাদ।
সবাই
আমাকে
ঋণী
করেছেন।
আর
বর্তমানে আমাদের
সংবাদের নতুনত্ব, তার
অনেকটায় কৃতিত্ব অর্পিতার, একায়
গত
কয়েকমাস ধরে
সংবাদ
উপস্থাপনার কাজটি
করে
যাচ্ছে
দায়িত্বশীলতার সাথে।
সাম্প্রতিক সময়ে
বর্ণও
সে
দায়িত্ব কাঁধে
নিয়েছি। তাদের
দুজনের
প্রতি
এ
দিনে
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সংবাদ
বিভাগের পেছনের
মানুষগুলোর প্রতিও
ভালোবাসা রইল।
নাগরিক
সাংবাদিকতাকে সবসময়ই
গুরুত্ব দিয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভি,
সেই
ধরণা
থেকেই
আমাদের
প্রতিদিনই তথ্য
দিয়ে
সহযোগিতা করেন
অনেকে।
বিশেষ
করে
কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়,
শাহনেওয়াজ দুলালের প্রতি।
আর
কৃতজ্ঞতা আমাদের
উপজেলার নিজস্ব
প্রতিনিধি,গোমস্তাপুরের আসাদ
ভাই,
শিবগঞ্জে শফিকুল
ভাই
ও
নাচোলের মনিরুল
ভাইয়ের
প্রতি।
এবার
আসি,
অনুষ্ঠান বিভাগের কথায়...চাঁপাইনবাবগঞ্জ
টিভির
সংবাদ
বিভাগ
শুরু
থেকেই
অনেকটায় নিয়মিত
থাকলেও
গত
৮
মাস
ধরে
দর্শকের কাছে
ভিন্ন
ভিন্ন
আধেয়
নিয়ে
হাজির
হয়,
অনুষ্ঠান বিভাগ।
তথ্য
প্রযুক্তির কল্যাণে, আমরা
এখন
সপ্তাহে ৫
দিন
২
ঘন্টা
করে
অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে
আসছি।
আর
এই
কাজে
সহযোগিতা করেছেন
শামীম
ভাই,
তার
সহযোগিতা না
পেলে
আমরা
টেকনিক্যালি সাউন্ড
হতে
পারতাম
না।
কৃতজ্ঞতা শামীম
ভাইয়ের
প্রতি।
আপনার হাতের মোবাইল ফোনটিই এখন আপনাকে এনে দিবে বিশ্বের সব কিছু। আর সেই নেটদুনিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভিও তার নিজস্ব আধেয় নিয়ে হাজির হয় আপনার সামনে আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতা ও মান উন্নয়নের চেষ্টা থাকবে। আশাকরি আপনিও সঙ্গী হবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির।
এর
আগেও
বলেছি,
জনঅংশগ্রহণে গণমাধ্যম, সেই
কথাটার
যেন
বাস্তবেই ধরা
দেয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির
অনুষ্ঠান বিভাগে। এখানে
যারা
উপস্থাপনা করেন,
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করেন,
নির্মাণের সাথে
পেছনে
থেকে
কাজ
করেন,
তাদের
সামাজে
একটা
অন্য
পরিচয়
আছে,
কেউ
শিক্ষক,
কেউ
শিক্ষার্থী, কেউ
ব্যবসায়ী, কেউ
সাংস্কৃতিক কর্মী,
কেউবা
গৃহিণী। নিজেদের কাজের
পাশাপাশি তারা
নিজেরা
সময়
বের
করে
নিয়মিতই চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভিতে
আধেয়
নির্মাণ করছেন,
যা
দর্শককের কাছে
জনপ্রিয়ও হচ্ছে।
অনুষ্ঠান বিভাগে
প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনার
চেষ্টা
করে
যাচ্ছেন, একরামুল হক
ইভান
ভাই,
মনোয়ারা ফয়েজ
ছায়া
আপা,
ফারহা
দিবা
বর্ণ।
তাদের
তিন
জনের
চেষ্টায় আমরা
সপ্তাহে ৫দিন
রাত
৯টা
থেকে
১১
টা
অবধি
লাইভ
অনুষ্ঠান প্রচার
করতে
সমর্থ
হয়েছি।
কৃতজ্ঞতা জানায়
ইভান
ভাই,
ছায়া
আপা
ও
বর্ণকে।
নিয়মিত অনুষ্ঠানের বাইরে বিশেষ কোন বিষয় বা দিবস পালনের আয়োজন গুলোতে উপস্থাপনা ও অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় সব সময়ই পাশে ছিলেন, আলি আশরাফ স্যার,ফাইজার রহমান মানি ভাই,খাবির উদ্দীন ভাই,রাসেল রহমান ও জাফর জয়নাল তাদের প্রতিও রইল ভালোবাসা। ফিরোজ আহমেদ হিরক ভাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভির হাসির অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন, যদিও সেটি ধারাবাহিতা রক্ষা করতে পারেনি, আশাকরি আগামীতে আবারো হাসির খোরাক জোগাতে হিরক ভাই হাজির হবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভিতে।
লেখাটা
অনেক
বড়
হয়ে
গেল,
শেষে
বলি,
সৃষ্টিশীল কাজে
দ্রুতই
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া
কঠিন,
আর
এ
ধরনের
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তো
তা
অনেক
কঠিনই
বটে।
এখনও
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভি
স্বেচ্ছাশ্রমেই পথ চলছে।
তারপরও
টিকে
থাকতে
হলে
আর্থিক
বিষয়টা
সবার
আগেই
চলে
আসে।
আর
গণমাধ্যমের আয়ের
উৎসই
বিজ্ঞাপন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভিতে
বর্তমানে বেশ
কয়েকজন
কাছের
মানুষ
প্রিয়জন সেই
সহযোগিতাটি করছেন।
তাদের
প্রতি
কৃতজ্ঞতা। আগামীতেও তাঁদের
আমরা
পাশে
পাব,
সেই
প্রত্যাশা করি।
গত
তিন
বছরে
আমরা
যে
আধেয়
উপস্থাপন করেছি,
তা
কতটা
দর্শক
ও
পাঠকের
কাছে
ভাল লেগেছে তা
জানি
না,
তবে
আমরা
সবসময়ই
চেষ্টা
করেছি,
নীতি
ও
নৈতিকতা মেনে
চলতে।
আমাদের
আধেয়
সংখ্যায় কম
গেলেও
আমরা
মানের
বিষয়ে
সবসময়ই
চেষ্টা
করেছি,
আমাদের
নিজস্বতা বজায়
রাখতে,
চেষ্টা
করেছি
সত্যনিষ্ঠতা ধরে
রাখতে।
মহান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ
করে
মুক্ত
মত
প্রকাশে আমরা
আমাদের
পথচলা
অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভি
বেঁচে
থাকুন...
হয়ে
উঠুক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজস্ব
গণমাধ্যম। জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
লেখক
আব্দুর
রব
নাহিদ
ফাউন্ডার এ্যান্ড সিইও
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিভি
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment