শিবগঞ্জে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে কোনঠাসা নৌকার প্রার্থীরা

আসন্ন  ২৮ নভেম্বর শিবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি  নির্বাচন । দুই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দুই জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় আর ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে ঘিরে চলছে প্রচার-প্রচারনা। চলছে গণসংযোগ। আড্ডা বসছে চায়ের দোকানে। আলাপ আলোচনায় মুখরিত সারা উপজেলার হাটবাজার সহ  প্রত্যন্তাঞ্চলের আনাচে কানাচে। চলছে সোডাউন। সোডাউনের মাত্রা এত বেড়েছে যে মনে হচ্ছে নির্বাচন বিধিনিষেধের কোন বালাই নেই। বিধি অনুযায়ী দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রচার প্রচারনা চালাতে  মাইকিং ও সাউন্ডবক্স বাজানো যাবে। তবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাজানো হচ্ছে। ঘটছে ছোট বড় কিছু সহিংসতা। তবে কেউ কোন অভিযোগ না করায়  নির্বাচন অফিস থেকে প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষ।   নির্বাচনে সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে   ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।  জামায়াত বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় প্রার্থী না থাকেলেও দলের সমর্থিত ২৩জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।এর বাইরে  শুধু আওয়ামীলীগেরই  স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী   ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছে ৪জন। সরজমিনে ঘুরে প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিনোদপুর ইউনিয়নে  ৭জন প্রাথীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী খাইরুল ইসলাম ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র  প্রার্থী অধ্যক্ষ রুহুর আমীন শীর্ষে রয়েছেন। খাইরুল ইসলামের দাবী  যেহেতু একটানা  ১৩ বছর আওয়ামীলীগের শাসনামলে প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিনোদপুরে ব্যাপক উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে যা মানুষ শতভাগ ভোগ করতে পেয়েছে।  এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত  রাখতে জনগণ নৌকা প্রতীকে  বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে বিজয়ী করবেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ রুহুল আমীন বলেন, আমি বিগত ৫০বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে জনসাধারনের  মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি। কিন্তু ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে প্রার্থী নির্ধারণ ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। তাই আমি দলীয় পদ েেথকে অব্যাহতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছি। আশা করি ২৮নির্বাচনে জনগণ আমাকে মোটরসাইকেল প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে প্রমান করবেন জনপ্রিয়তা কাকে বলে। জামায়াতের ঘাটি  শ্যামপুরে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামানের ওপর খোদ দলীয়  সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় জামায়াত প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান। এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান ভোদন  মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতে চাননি।  ধাইনগরে  নৌকার  প্রার্থী তাবারিয়া চৌধুরী প্রচারনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকায় সেখানে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুল ইসলাম ও জামায়াত;সমর্থিত প্রার্থী আ: লতিফের হাড্ডাহাড্ডি  লড়াই হতে  যাচ্ছে।  তবে নৌকার প্রার্থী তাবারিয়া চৌধূরীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। গত ইউপি নির্বাচনে সাহাবাজপুর,চককীর্তি ও  মোবারকপুরে জামায়াতও বিএনপি দলীয় প্রার্থী  বিজয়ী হয়ে সরকারের উন্নয়নের ছোয়া থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করেও  সাহাবাজপুরে  নৌকার প্রার্থী নিজামুল হক রানা, চককীর্তিতে আনোয়ার হাসান আনু মিঞা ও মোবারকপুরের কামাল উদ্দিন  মাঠ না ছেড়ে সরকারের উন্নয়নের ছোয়া জনগনের মাঝে পৌঁছাতে দিনরাত কাজ করে সফল হয়েছেন।তাই এ তিন  ইউনিয়নে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে জামায়াত ও বিনএনপি  অধুষিতএলাকা হওয়ায় তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও  পিছিয়ে নেই।  নির্বাচনে তাদের  নিরব বিপ্লবই আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের পথের কাঁটা হতে পারে।পাঁকা ইউনিয়নে  নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সমর্থিত  উঠতি বয়সী একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ও নৌকার প্রার্থী এলাকার  জনগনের সাথে গত পাঁচ বছর ধরে সম্পৃক্ত না থাকায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই মনে করেন।  বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসাবে পরিচিত  দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নে শক্তিশালী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী  ও আওয়ামীলীগ সমর্থিতস্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে। তবে নৌকার প্রার্থী আলমগীর বলেন দল সমর্থিত সকলেই ঐক্যমত থাকায় ও  ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায়  স¦ত্বেও বি এনপির চেয়ারম্যান থাকায় জনগন বঞ্চিত হওয়ায় তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে  আমাকে ভোট  দিয়ে নির্বাচত করবেন।ঘোড়াপাখিয়া ও ছত্রাজিতপুর  ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত  কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলীয় নেতা কর্মীরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করায় তাদের কোন পথে কোন  কাঁটা নেই বলে অনেকের দাবী। উজিরপুর ইউনিয়নে  চার জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী দুরুল হোদাকে ঠেকাতে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়ে  মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে এলকায় তিনি একজন ত্রাস হিসাবে পরিচিত বলে এলাকার অনেক্ইে জানান।দূর্লভপুর ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ও আওয়ামীলীগের সরাসরি বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডপার বজলুর রশিদ সনু স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আওয়ামীলীগকে বেগ পেতে হতে পারে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু আহমেদ নজমুল কবির মুক্তা শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় তাকে বিজয়ী করতে মাঠে রয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত  সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী।এ নির্বাচনকে ঘিরে  সাহাবাজপুর, দূর্লভপুর,মোবারকপুর, চককীর্তি, শ্যামপুর,পাঁকা ও বিনোদপুর ইউনিয়নের লক্ষাধীক আওয়ামীলীগ সমর্থক তীর্থের কাকের মত চেয়ে আছে, সময় থাকতে  আওয়ামীলীগের হাই কমান্ডের  উপস্থিতিতে   সকল আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র  প্রার্র্থীদের বুঝিয়ে একমঞ্চে এনে নৌকার র্প্র্থাীদের বিজয়ের পথকে সুগম করে  আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার সুযোগ করে দেয়া হোক।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About nahid

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7