
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালটি পরিচলনা কমিটি সভাপতি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আয়েশ উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে গত ২৯ জুন একটি অংশ সাধারণ সম্পাদক ও নির্বহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তারপর থেকে কমিটির সদস্যদের নিজেদের মধ্যে দন্দটি প্রকাশ্যে আসে।
বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক হিসাব স্থিগিত রাখার কথা জানিয়ে ব্যাংকে চিঠি দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আয়েশ উদ্দীন।
হাসপাতালে কর্মরত, রুমা ইসলাম, লেতুন জেরা, জান্নাতুন সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী বলেন, এখানে কি সমস্যা তা আমরা জানতে চাই না, আমারা কাজ করেও যদি বেতন না পায় ঈদের সময় তখন কেমন লাগে, কি আর বলব।
এই বিষয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বলেন, নির্বহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এই নিয়ে তিনি চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়েছেন। যার ফলে চেয়ারম্যান ব্যাংকে চিঠি দিয়ে একাউন্ট স্থগিত করে দিয়েছেন। তিনি এই অচল অবস্থার জন্য প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামকে দায়ি করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে, সেটা অগনতান্ত্রিক, সেই মিটিং এ চেয়ারম্যানসহ অনেকেই অংশ নেননি।
এ বিষয়ে হাসপাতালে বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আয়েশ উদ্দীনকে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এজেড এম নূরুল হক জানান, চক্ষু হাসপাতালটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে অভ্যান্তরিত যে দন্দ রয়েছে, তা সমাধানে আমি চেষ্টা করব। যাতে হাসপাতালটি আরো ভালভাবে তার সেবা কার্যক্রম চালাতে পারে।
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।