আমের রাজ্যে সম্ভাবনাময় লটকন


আমের রাজ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন অতিথি হয়েই এসেছে লটকন। এ জেলার আম বাগান গুলোর মাঝে এ লটকন গাছ লাগানোর সুযোগকে নতুন সম্ভাবনা হিসাবে দেখছেন ফল গবেষকরা। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে লাগাচ্ছেন লটকন গাছ। এতে করে জেলার কৃষি অর্থনীতি বাড়বে কয়েকগুন, যা কয়েকশ কোটি টাকা হতে পারে পরে ধারণা গবেষকদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের হর্টিকালচার সেন্টারের থাকা লটকন গাছ গুলোতে এখন থোকায় থোকায় ঝুলে আছে পাকা লটকন। হলদে বর্ণ ধারণ করা ফলগুলো দেখলে যে কারও খেতে মন চাইবে। মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাছের ফল সংগ্রহের পর, পাওয়া গেল প্রায় ২০ কেজি মত লটকন। লটকন গাছ লাগানোর ৩ বছরের মাথায় ফল দেয়া শুরু করে, বাজারে প্রতি কেজি লটকন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক উদ্যানতত্ববিদ সাইফুর রহমান জানান, লটকন গাছ আধো আলো আধো ছায়া, একটু স্যাঁতসেঁতে জায়গায় হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল বিশাল আম বাগান আছে, সেখানে লটকন চাষের বড় সম্ভবনা রয়েছে । আরো একটা বিষয় আম ও লটকন একই সময়ই পাকে, তাই আম বাগানে যে পাহারা দেয়া হয় বা যতœ নেয়া হয়, সেদিক বিবেচনায় নিলে একই সাথে আম ও লটকনের যতœ নেয়া সম্ভব। লটকন চাষ খুবই সহজ, গাছ শুধু লাগিয়ে রাখলেই চলে, এতে খুব একটা রোগবালাই হয়না ।

উদ্যানতত্ববিদ সাইফুর রহমান লটকন চাষের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাগানে লটকনের চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে বাগান মালিকদের বাড়তি আয় হবে, সারা জেলাতে যে পরিমান লটকন চাষের সুযোগ আছে তা কাছে লাগানো গেলে, অন্তত কৃষি জেলার অর্থনীতিতে ২০০ কেটি টাকা শুধু লটকন থেকেই যুক্ত হতে পারে। সেদিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা লটকনের চারা তৈরী, চাষে সবাইকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
লটকন একটি পুষ্টিকর ফল উল্লেখ করে সাইফুর রহমান বলেন, এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, এটা খেতে টক মিষ্টি। যা আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরনে কাজে আসবে।





কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainews

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7