বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়ামে আনাগোনা বাড়ছে দর্শনার্থীদের


সফিকুল ইসলাম :চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কানসাটে বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়াম শুধু শিবগঞ্জের নয় সারা জেলার অর্থনৈতিক, চিত্তবিনোদন  ও বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে  চমক সৃষ্টির মাধ্যমে আড়োলন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে ।্এমনি আশা  জেলার সর্বসাধানের।শিবগঞ্জ ুউপজেলার  ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাতে প্রায় ৩৭হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩লাখ মেট্রিক টন উৎপাদিত আম  প্রায় বিভিন্ন যানবাহনে দেশের বিভিন্ন জেলায়  ও বিদেশে যায়। শিবগঞ্জে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  ৮০% লোকের জীবনজীবীকার নির্ভর করে আমের ওপর। শতাধিক বছর আগে থেকেই শিবগঞ্জে আম অর্থকারী ফসল বলে আখ্যায়িত আছে।মধ্যখানে আমের ঐতিহ্য কিছুটা ম্লান হয়ে গেলেও বর্তমানে শিবগঞ্জ  উপজেলা প ্রশাসনের উদ্যোগে তৈরী করা হয়েছে শিবগঞ্জের কানসাট রাজার বাগানে বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়াম। যার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়ামের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিবগঞ্জের আমের হারানো গৌরব ফিরে আসছে, অন্যদিকে তেমনি অনেক লোকের কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে। সংগে সংগে সংগে সংগে চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রেও এ স্থানটি সুনাম অর্জন করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়ামটির অবস্থান হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজলোর কানসাট রাজার বাগানে।উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়ূ আম ব্যবস্য়াীয়দের সূত্রে জানা গেছে এখানে প্রায় ৩২ একর খাস জমির উপর  প ্রায়  ১শ বছরের পুরাতন  ১৬ জাতের ২১শ টি আম গাছ আছে। যা প্রায়  ১শ বছর আগে ময়মনসিংহের জামিদার রাজা শসিতকান্ত আচার্য কানসাটে কাচারী বাড়ি নির্মানের মাধ্যমে খাজন আদায় করতো। তার হাতে এ আম বাগান তৈরী। যা কুজ্জা রাজার বাগান নামে পরিচিত। বাগানটির ঐতিহাসিক ঐতিহ্য থাকায় দেশ বিদেশ হতে অনেকে এ বাগানটি পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার কারনে পরিদর্শনে আসা পর্যটকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে কথিত  আছে।শুধু তাই নয় এ বিশাল বাগানটি ঘিরে এখানে বসতো মাদকের হাট ও আড্ডা, চলতো নানা ধরনের অসামাজিক কাযাকলাপ। লুটপাট হতো  বিশাল অংকের সরকারী রাজ্স্ব। যা শিবগঞ্জ উপজলো নির্বাহী কর্তকর্তার নজরে আসলে বঙ্গবন্ধু ম্যাংগা মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করার সিন্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করেন।প্রথমে সেখানে অবৈধভাবে  ২৭টি স্থাপণা ও বাড়ি উচ্ছেদ করে তাদের অন্যস্থানে পূর্নবাসন করা হয়েছে।সীমানাহীন বাগানটির সীমানা নিধারণ করা হয়েছে। জরাজীর্ন রেষ্টহাউসটিকে আধুনিকরণ করা হয়েছে। জাতির পিতার মুর‌্যালসহ দৃষ্টি নন্দন গেইট নির্মান, পুকুর খনন, ১‘শ জাতের নামকরণসহ ম্যাংগো পিডিয়া  প্রকাশনা, আধুকি জার্মাপ্লাজমের চারা রোপন, টপ ওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে পুরাতন গাছকে আধুনিক গাছে রুপাপ্তরিত  করা, নার্সারী নির্মান শেষ , পর্যটকদের  জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করা, বাগানের মধ্যে নির্মাস করা হয়েছে আরসিসি রাস্তা,আমজাত  পূন্যের প্রদর্শনী কেন্দ্র,নুতন ।ট্যুরিজিম শিল্প বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালনের উদ্দেশ্যে  মিউজিয়ামকে পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার জন্য পর্যটক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য অনেক উদ্যোক্তা তৈরী করা হয়েছে।ইসরাইলের প্রযুক্তিতে প ্রতি একরে ১৫মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষে আলট্রাহাইডেন সিটি পদ্ধতিতে আম চাষের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।দেশ বিদেশ হতে আমের জাত সংগ্রহ ও জার্ম প ্রøাজম তৈরী হচ্ছে।যেখান থেকে আমচাষীরা উন্নত জাতের স্যাপলিং সগ্রহ করে আম ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটনাতে পারবে। এ মিউজিয়াম হতে জি আই সনদ প্রাপ্ত খিরসাপাত আমের স্যাপৈিলং সংগ্রহ হচ্ছে।এখানে বিদেশী আমের কর্ণার স্থাপনের মাধ্যমে জাপানর মিয়াজাকি, দিল্লীল চোষা, আমেরিকার ব্লাকষ্টারসুম্ষিটা চিয়াং মাই অ্যাপেল, ম্যাংগো ও ব্লু ম্যাংগো লাগানো হয়েছে এবং আরো লাগানো হবে।তাছাড়া এখানে বিলুপ্ত প্রজাতির আম  মেমপছন্দ, গর্জিত, বৌভুলানোবিভিন্ন ধরনের আমের চারা উৎপাদন করা যাবে। এবছর এখানে  বিভিন্ন প্রজাতির চারা তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আম গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেশুর রহমান জানান সারা দেশে প্রায় ৮শ ধরনের আম রয়েছে,দত তারমধ্যে শুধু চাঁপাইনাবগঞ্জ জেলাতে  সাড়ে ৩শ ধরনের আম রয়েছে। আর এজন্যই চাঁপাইনবাবগঞ্জকে উত্তরবঙ্গের আমের রাজধানী বলা হয়।জেলার শিবগঞ্জের ম্যাংগো মিউজিয়ামে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী এসে একসংগে প্রায় সাড়ে ৩শ ধরনের আমের জাত দেখে সবগুলো আমকে চিতনে  পারবে এবং আম সর্ম্পকে তাদের আগ্রহ বাড়বে। ফলে শিবগঞ্জে আমের উৎপাদন বাড়বে,আম সম্পর্কে দর্শনার্থীদের উৎসাহ ও ্ উদ্দীপণা ;বাড়ছে।বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়াম সম্পর্কে তিনি আরো বলেন ম্যাংগো মিউজিয়ামে ক্রসিংয়ের মাধ্যমে   এক ধরনের আম হতে অন্য ধরেনর আমে স্থান্তারিত করে  সুস্বাদু নতুন জাতের আম তৈরী করা সহজ হবে এবং দেশ ও বিদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্ররিদর্শনে এসে দেখতে ও জানতে পারবে। ফলে একদিকে যেমন   জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে তেমনি ম্যাংগো জিয়ামের সুনামও তাদের ম্যাধমে  প্রচার হবে শবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বীর উদ্যেগ গ্রহনের পর সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়াম্যান এবি এম আজাদ মিউজিয়ামের মধ্যে বারি কর্ণারের  শুভ  উদ্বোধন করেন। এ পর্যন্ত  সরকারের  উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  মিউজিয়াম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বী জানান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে  বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শিবগঞ্জের হারানো গৌরব ফিরে আসবে, আমচাষীরা তাদের নায্য অধিকার পাই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের আমের আলাদা স্বাদের ইতিহাস ফিরে আসবে।  বেকার সমস্যার সমাধান হবে এবং দেশ বিদেশে ম্যাংগো মিউজিয়ারে খ্যাতি বৃদ্ধি পাবে। শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুর ইসলাম,স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা:সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল বলেন বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়ামের মাধ্যমে শিবগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে  আলোচনা করে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ্এবং ভবিষ্যতে যে তা অক্ষুন্ন থাকে সে ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About nahid

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7