হরিজনদের সাথে এক হোটেলে বিশিষ্টজনদের নাস্তা খাওয়া, কাটবে কি অচলায়তন...


হরিজনরা আমাদের সমাজেরই অংশ, তবুও হোটেল রেস্তোরায় তাদের অন্যদের সাথে বাসে খাবার খাওয়া বারন। কোন কোন হোটেলে তাদের বসার জন্য থাকে আলাদা স্থান, থাকে আলাদা থালা, বাটি, গ্লাস। আবার কোন কোন হোটেলে বসে খাওয়ার যায় না, খাবার পার্সেল নিয়ে, বাসায় বা অন্য কোথাও গিয়ে খেতে হয়। আধুনিক সমাজেও এখনো রয়ে গেছে, এ অচলায়তন।

রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসেছিলেন,পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. নমিতা হালদার। তিনি তার সফরের অংশ হিসাবেই সদর উপজেলার আমনুরায় হরিজন পল্লীতে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে হরিজনদের হোটেলে বসে খেতে না পারার, দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভাংতেই তাদের নিয়ে হোটেলে বসেই সকালের নাস্তা করেন।
ড. নমিতা হালদারের সাথে হরিজনদের সাথে একসাথে নাস্তার টেবিলে ছিলেন ঝিলিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াসের নির্বাহী পরিচালক মো. হাসিব হোসেনসহ অনেকেই।

হরিজনদের মধ্যে অনেকেই এদিন প্রথম বারের মত হোটেলে বসে খাবার সুযোগ পেলেন, শিবরাজ নামে একজন বলেন, আপনার আমার মধ্যে কি এমন পার্থক্য, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, সবার রক্তই এক, তবও ছোট থেকেই দেখে আসছি আমাদের সাথে এমন আচারন। আজ উনাদের সাথে নাস্তা করলাম, কাল করতে পারলে বুঝব, কিছুটা বলাচ্ছি আমরা।

হোটেল মালিক মনতাজ আলী বলেন, আমাদের এটা ব্যবসা, খাবার বিক্রি করলেই আমাদের আয়, তাদের (হরিজনদের) হোটেলে বসে খাবার খাওয়াতে আমাদের কোন সমস্যা নাই, কিন্ত অন্য কাস্টমাররা বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখে, আর ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা তখন করতে হয় আমাদের। এজন্যই তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করি। কি করব বলেন, আমার তো ব্যবস্যা করতে হবে। তবে সবার মানসিকতা চেঞ্চ হলে এ সমস্যা থাকবে না।

 

 

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7