পিঠা উৎসবের ৭ ধরনের পিঠা তৈরী করে নিয়ে এসেছিলেন, সুমাইয়া হক এশা। তিনিই পেয়েছেন প্রথম পুরস্কার। উৎসবে অংশ গ্রহন ও পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে এশা বলেন, আমাদের পাড়াতে এমন একটা আয়োজন হচ্ছে, তাই কাল থেকেই প্রস্তুতি ছিলো, বেশ কয়েক পদের পিঠা তৈরী করেছিলাম। এখানে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিয়ে এসেছিলাম পিঠাগুলো। আমিই যে প্রথম হয়ে যাব ভাবেনি, তবে পুরস্কার পেয়ে এখন মনে হচ্ছে, কালকের সারাদিনের পরিশ্রম অনেকটায় সার্থক হয়েছে।
এছাড়াও মোবাসিরা তাসমিন বাধন ২য় ও লতিফা বেগম ৩য় পুরস্কার পান। এছাড়াও অংশগ্রহনকারী সবাইকে দেয়া হয় শান্তনা পুরস্কার। দর্শকদেরও নিরাস হয়ে ফিরতে হয়নি, উৎসবে আগত সবার জন্যই ছিলো ভাপা পিঠার স্বাদ নেয়ার সুযোগ।
সম্প্রীতির সভাপতি নাহিদুল হক পিঠা উৎসব আয়োজনের বিষয়ে বলেন, গত বছর থেকে আমরা গ্রামের মানুষদের একসাথে একটা দিন আনন্দের উপলক্ষ্য করে দিতেই পিঠা উৎসব করে আসছি। গতবারের চেয়ে এবার পরিসর বেড়েছে, বেড়েছে আগ্রহ। পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রথমবার সবাইকে অনুরোধ করতে হয়েছিল, এবার সবাই অনেকটা নিজ আগ্রহেই অংশ নিয়েছেন। এটা আমাদের অনুপ্রানিত করছে, আগামীতেও পিঠা উৎসব আয়োজনের এ ধারা আমরা সম্প্রীতির মাধ্যমে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন, জাগো নারী বহ্নিশিখার আহ্বায়ক ফারুকা বেগম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, আইনজীবি আঞ্জুমান আরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক রফিক হাসান বাবলু, সম্প্রীতির সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ অনান্যরা। বিকালে শুরু হওয়া উৎসব চলে সন্ধ্যা পযন্ত।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment