হার্টের রোগী হয়েও ত্রান জোটেনি কাসেমের ভাগ্যে

হার্টের রোগী কাসেম আলি করোনার কারনে ঘরবন্দী অবস্থায়   আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছে।কাসেম শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের চৌকা পোড়াডিহির গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে।।কাসেম আলি গ্রামে গ্রামে  বাদাম বিক্রী করে কোন রকমে সংসার চালাতো। করোনার কারনে ঘরবন্দী অবস্থায়  ঐ সামান্য পুঁজিটাও সংসার চালাতে গিয়ে শেষ করে ফেলেছে। বর্তমানে একদিকে টাকার অভাবে ঔষধ কিনতে না পারায় বিছানায় ছটফট করছে, অনদিকে পরিবার নিয়ে অনাহারে –অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার প্রচুর ত্রান দিলেও কাসেমের কপালে জোটেরি কোন ত্রান। কারন সে অতীতে বিএনপির সমর্থক থাকায় বর্তমান সংশি^লষ্টদের সুদৃষ্টি পড়েনি তার ওপর। সাম্প্রতিককালে তিনি আর্থিক  সাহাযের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মনাকষা ইউপি চেয়াম্যান বরারব আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি  বলেন শুনছি জননেত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্যই ত্রান বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতারা একমাত্র বিএনপি সমর্থক ছিলাম বলে আমাকে  সমস্ত সুযোগসুবিধা থেকে  বঞ্চিত রেখেছে। একাধিকবার ধর্না দিয়েও তাদের দয়া হয়নি।আর্থিক অনটনের কারণে অসুস্থ অবস্থায় ঔষধ কিনতে পারিনা। পেটে খেতে পাইনা।এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মুত্যু অনেক ভাল্ ।মনাকষা ইউপি সচিব আব্দুর রকিব বলেন আবেদন পেয়েছি।সুযোগ পেলে দেখবো ব্যাপারটি। তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য ত্রান বরাদ্দ করেছেন। আর তালিকা তৈরীর দায়িত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও নেতাদের উপর। তালিকায় তার নাম না থাকাটা অমানবিক। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আখতারের সাথে যোগায্গো করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগযোগা করা সম্ভব হয়নি।




আমাদের ইউটিউব চ্যালেন সাবস্কাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About nahid

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7