করোনাকালে বিপাকে পড়েছেন গাভীর খামারীরা : অবিক্রিতই থেকে যাচ্ছে দুধ


শিবগঞ্জের মিষ্টির একটা আলদা কদর আছে সারাদেশেই, তার সেই বাজার চাহিদার কথা ভেবে এখানে প্রতিদিনই তৈরী হত নানা পদের মিষ্টি। আর মিষ্টি তৈরীর আধিক্যের কারনে দুধের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ উপজেলায় গড়ে উঠেছিল প্রায় অর্ধশত গাভীর খামার। এছাড়াও বাড়িতেও অনেকই গাভী লালনপালন করে দুধ বিক্রি করতেন, তাদের প্রধান ক্রেতাই ছিলো মিষ্টির দোকান গুলো। তবে করোনা সর্তকতায় এখন মিষ্টির দোকান বন্ধ। ফলে শিবগঞ্জ উপজেলার খামারীরা দুধ বিক্রি করা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে, অর্ধেকের বেশি দুধই অবিক্রিত থাকছে প্রতিদিন।

বেশ কয়েকজন খামারীর সাথে কথা বলে বলে জানা যায়. খামারের প্রতিদিনের খরচ জোগান দিতেই তারা হিমসিম খাচেছন। দুধ বিক্রি করে যে আয় হত, তা দিয়েই গরুর খাবার, রাখালের পারিশ্রমিক আর যা অবশিষ্ট থাকত তা ছিলো তাদের আয়, কিন্তু এখন দুধ বিক্রি হচ্ছে না, ফলে তারা খামারের খরচ জোগানো নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন। 

এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শ্রী রণজিৎ কুমার সিংহ জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় ৬৭টি খামার রয়েছে। গাভী রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬টি। প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ৪৮ হাজার লিটার। তারমধ্যে শুধূ মিষ্টির দোকানেই বিক্রী হতো ২৪ হাজার লিটার। যা পুরোপুরি বন্ধ।
সাধারণ ক্রেতার মাঝে বিক্রী হতো প্রায় ১৫হাজার লিটার সেটিও কমে গেছে। ফলে খামারীরা চরম বিপাকে পড়েছে। তিনি আরো বলেন,এ প্রেক্ষাপটে সরকার যে প্রণোদনা ঘোষনা করেছে, তার মধ্যে গরুর খামারীও পড়বে।





আমাদের ইউটিউব চ্যালেন সাবস্কাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7