মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে ওসমান আলী (১৪) নামে ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে দুই যুবকের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড,৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক শওকত আলী দন্ডিতদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিতরা হলেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মথুরাপুর শেখপাড়া গ্রামের মৃত.আবুল কাসেম মালিথার ছেলে রাজু মালিথা(২৫) ও পাবনা জেলার চাটমোহর থানার মহরমখালি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মহরম হোসেন (৩৩)। অপহৃত শিশু ওসমান আলী নাচোল আলিসাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান,গত ২০১৬ সালের ৫’ফেব্রুয়ারী কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নাচোলের খলসি বাজার এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে ওসমান ও তার আপন চাচাত ভাই নজরুল ইসলামের ছেলে শাহাদৎ আলীকে (১২) অপহরণ করা হয়। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কিনে দেবার লোভ দেখিয়ে শিশুদের পূর্বপরিচিত রাজু সহযোগিদের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করে। অপহরনের পর শিশুদের রাজশাহী রেলষ্টেশন হয়ে ট্রেনে ঈশ্বরদী রেলষ্টেশনে নেয়া হয়। এরমধ্যে শিশুর অভিভাবকদের নিকট মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। পরদিন অপহরণকারীদের কিছু টাকা ‘বিকাশে’ প্রদান করেন অভিভাবকরা। কিন্তু শিশুদের ছাড়া হয়নি। এদিকে শিশু শাহাদৎ অপহরণের রাতেই কৌশলে অপহরণকারীদের নিকট থেকে ছুটে বাড়ি ফেরে। ওসমানকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনার চাটমোহর রেলষ্টেশনে।
এ ঘটনায় ৮’ফেব্রুয়ারী নাচোল থানায় মামলা করেন শিশু ওসমানের পিতা। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে র্যাবের সহায়তায় মোবাইল কল ট্রাকিং এর মাধ্যমে ৯’ফেব্রƒযারী চাটমোহর ষ্টেশন থেকে শিশু ওসমানকে উদ্ধার করে এবং দুই অপহরণকারী রাজু ও মহরমকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাচোল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান ওই বছরের ১৮’জুন আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন। ৯ সাক্ষীর বয়ান,প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত রাজু ও মহরমকে দোষি মেনে সোমবার সাজা শোনান। বিরোধি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আ্যাড.একরামুল হক পিন্টু ও আ্যাড.ইসমাইল হোসেন।
মামলার নথি সূত্রে ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান,গত ২০১৬ সালের ৫’ফেব্রুয়ারী কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নাচোলের খলসি বাজার এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে ওসমান ও তার আপন চাচাত ভাই নজরুল ইসলামের ছেলে শাহাদৎ আলীকে (১২) অপহরণ করা হয়। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কিনে দেবার লোভ দেখিয়ে শিশুদের পূর্বপরিচিত রাজু সহযোগিদের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করে। অপহরনের পর শিশুদের রাজশাহী রেলষ্টেশন হয়ে ট্রেনে ঈশ্বরদী রেলষ্টেশনে নেয়া হয়। এরমধ্যে শিশুর অভিভাবকদের নিকট মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। পরদিন অপহরণকারীদের কিছু টাকা ‘বিকাশে’ প্রদান করেন অভিভাবকরা। কিন্তু শিশুদের ছাড়া হয়নি। এদিকে শিশু শাহাদৎ অপহরণের রাতেই কৌশলে অপহরণকারীদের নিকট থেকে ছুটে বাড়ি ফেরে। ওসমানকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনার চাটমোহর রেলষ্টেশনে।
এ ঘটনায় ৮’ফেব্রুয়ারী নাচোল থানায় মামলা করেন শিশু ওসমানের পিতা। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে র্যাবের সহায়তায় মোবাইল কল ট্রাকিং এর মাধ্যমে ৯’ফেব্রƒযারী চাটমোহর ষ্টেশন থেকে শিশু ওসমানকে উদ্ধার করে এবং দুই অপহরণকারী রাজু ও মহরমকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাচোল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান ওই বছরের ১৮’জুন আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন। ৯ সাক্ষীর বয়ান,প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত রাজু ও মহরমকে দোষি মেনে সোমবার সাজা শোনান। বিরোধি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আ্যাড.একরামুল হক পিন্টু ও আ্যাড.ইসমাইল হোসেন।
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।