এস এম হাফিজুল ইসলাম,ছিলেন ছাত্রলীগের মহাকুমার ( চাঁপাইনবাবগঞ্জের পূর্ব নাম) সভাপতি, অনেকের কাছেই তিনি শেখ হাফিজ নামেই পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর সাথে তার রয়েছে অনেক স্মৃতি, সেই স্মৃতি কথা বলতে গিয়ে জানালেন ‘বাচ্চু ভাই ( তৎকালিন সময়ে আওয়ামীলীগের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন, অ.ফ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার ,পরে গভর্ণর হয়েছিলেন) আমাকে ঢাকা যাওয়ার জন্য ১০০ টাকা দিতেন’।
‘‘সেই ১০০ টাকা পকেটে নিয়েই কতবার যে ঢাকা গেছি বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে, পকেটে টাকা কম, তখন বিআরটিসির বাস ভাড়া ছিল ৩৩ টাকা করে, যাওয়া আসাতে ৬৬ টাকা চলে যেত, তাই থাকতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে,এজন্য কিছুটা কষ্ট হলেও কিছু মনে হত না, বঙ্গবন্ধুর পায়ের সালামই আমার কাছে কোটি টাকার সমান।’’ বর্তমান সময়ের ছাত্রনেতাদের কথা চিন্তা করলে এ কথা যেন রুপকথার মতই শোনাবে।
স্মৃতি হাতড়ে বলছিলেন, ‘একবার বাচ্চু ভাইয়ের জন্য একটা সুপারিশ নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে, আমি সালাম দিলাম, বঙ্গবন্ধু বললেন, কি হাফিজ, বললাম বাচ্চু ভাইকে গভর্নর বানাতে হবে, তখন তিনি রেগে বলেছিলেন ‘‘ তুই ছাত্র মানুষ লেখাপড়া করবি, কাকে গভর্নর বানাব সেটা আমার কাজ, যা আজই বাড়ি ফিরে যা, উনাকে আমি ভাল করে চিনি’’ । সেদিন রাতেই আমি বাসে উঠলাম, সকালে এসে শুনি বাচ্চু ভাই গভর্নর হয়েছেন।
কথা বলতে বলতে বয়সের ভারে অনেকটাই ক্লান্ত হাফিজ বলেন, এখনকার মত রাজনীতি তখন ছিল না। আমি আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়, শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দিয়ে যাব।
কথায় কথায় বলছিলেন, আগে সবাই ছিল তো বঙ্গবন্ধুর, তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমরা যারা ছিলাম, তারা সবাই মিলেই আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসলেন, সেই জনসভাকে সফল করতে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করেছিল। তখন কোন ভেদাভেদ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর এমন একটা বটবৃক্ষ ছিলেন যে কেউ চাইলেও অন্য রকম চিন্তা করতে পারত না। সরকারি কলেজের জনসভার কথা বলতে গিয়ে সেই সময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ জানালেন,‘‘ সেদিন বঙ্গবন্ধুর জ্বর ছিল, তারপরও ওই অসুস্থ অবস্থায় তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি চাইলেই জনসভার প্রোগ্রাম বাতিল করতে পারতেন, কিন্তু অগনিত মানুষ কষ্ট পাক সেটা তিনি চাননি।”
বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মনিমুল হক সড়কের বাড়িতেই কাটে প্রবীন এ নেতার সময়, পত্রিকা পড়ে সকালটা কেটে যায়,এরপর বাজারে যান, কেনাকাটা শেষে ফিরে আসেন, বিকালে একটু হাটেন শহরের রেল স্টেশন এলাকায়, এককরম রুটিনে বাধা জীবন।
‘‘সেই ১০০ টাকা পকেটে নিয়েই কতবার যে ঢাকা গেছি বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে, পকেটে টাকা কম, তখন বিআরটিসির বাস ভাড়া ছিল ৩৩ টাকা করে, যাওয়া আসাতে ৬৬ টাকা চলে যেত, তাই থাকতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে,এজন্য কিছুটা কষ্ট হলেও কিছু মনে হত না, বঙ্গবন্ধুর পায়ের সালামই আমার কাছে কোটি টাকার সমান।’’ বর্তমান সময়ের ছাত্রনেতাদের কথা চিন্তা করলে এ কথা যেন রুপকথার মতই শোনাবে।
স্মৃতি হাতড়ে বলছিলেন, ‘একবার বাচ্চু ভাইয়ের জন্য একটা সুপারিশ নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে, আমি সালাম দিলাম, বঙ্গবন্ধু বললেন, কি হাফিজ, বললাম বাচ্চু ভাইকে গভর্নর বানাতে হবে, তখন তিনি রেগে বলেছিলেন ‘‘ তুই ছাত্র মানুষ লেখাপড়া করবি, কাকে গভর্নর বানাব সেটা আমার কাজ, যা আজই বাড়ি ফিরে যা, উনাকে আমি ভাল করে চিনি’’ । সেদিন রাতেই আমি বাসে উঠলাম, সকালে এসে শুনি বাচ্চু ভাই গভর্নর হয়েছেন।
কথা বলতে বলতে বয়সের ভারে অনেকটাই ক্লান্ত হাফিজ বলেন, এখনকার মত রাজনীতি তখন ছিল না। আমি আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়, শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দিয়ে যাব।
কথায় কথায় বলছিলেন, আগে সবাই ছিল তো বঙ্গবন্ধুর, তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমরা যারা ছিলাম, তারা সবাই মিলেই আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসলেন, সেই জনসভাকে সফল করতে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করেছিল। তখন কোন ভেদাভেদ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর এমন একটা বটবৃক্ষ ছিলেন যে কেউ চাইলেও অন্য রকম চিন্তা করতে পারত না। সরকারি কলেজের জনসভার কথা বলতে গিয়ে সেই সময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ জানালেন,‘‘ সেদিন বঙ্গবন্ধুর জ্বর ছিল, তারপরও ওই অসুস্থ অবস্থায় তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি চাইলেই জনসভার প্রোগ্রাম বাতিল করতে পারতেন, কিন্তু অগনিত মানুষ কষ্ট পাক সেটা তিনি চাননি।”
বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মনিমুল হক সড়কের বাড়িতেই কাটে প্রবীন এ নেতার সময়, পত্রিকা পড়ে সকালটা কেটে যায়,এরপর বাজারে যান, কেনাকাটা শেষে ফিরে আসেন, বিকালে একটু হাটেন শহরের রেল স্টেশন এলাকায়, এককরম রুটিনে বাধা জীবন।
পুরো সাক্ষাৎকার দেখুন