
জেলা ছাত্রলীগের সূত্র গুলো বলছে, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সহসভাপতি সাইফ জামান আনন্দ, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রেজা ইমন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহম্মেদ শাউন সভাপতি পদের জন্য তদবির চালাচ্ছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগানোর দৌড়ে রয়েছেন জেলার সহসভাপতি নাহিদ শিকদার, সহসম্পাদক মোক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী।
নেতাদের ঢাকামুখী তৎপরতার বিষয়ে বর্তমান কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত সুমন বলেন, সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও হতাশা আছে, তাই আবারো সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠান করলেই ভালো হয়। এতে করে কর্মীরা চাঙ্গা হবে। কেন্দ্রে থেকে কমিটি দেয়া হলে সম্মেলনের সেই উৎসাহ উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত হবে নেতাকর্মীরা।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী এক নেতা জানান, তিনি সহ পদ প্রত্যাশী প্রায় সব নেতায় ঢাকায় গিয়েছিলেন, আবারো কদিনের মধ্যেই যাবেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিউল ইসলাম বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতির ব্যাপারটিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ১০ ফেব্রুয়ারি আমাদের জানান, সম্মেলনে উপস্থিত হতে আমাদের আর সমস্যা নেই। কিন্তু মাত্র দুদিনে সম্মেলনের আয়োজন করা আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এ কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানালে তাঁরা আমাদের সম্মেলন স্থগিত করতে বলেন। কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, আগামি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা। তবে এ ব্যাপারেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। আর সম্মেলনে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য অনেকেই ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ঘনিষ্টতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেন জেলা সভাপতি সাকিউল ইসলাম।
0 Comments:
Post a Comment