চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মুনাফার লোভে টাকা রেখে এখন পথে বসেছে হাজারো গ্রাহক। সংস্থাটির ছিলো না কোন যথাযথ নিবন্ধন, স্থানীয়ভাবে সমাজ সেবার নিবন্ধন নিয়ে শুর করে দেয় গ্রাহকদের কাছ থেকে উচ্চ মুনাফায় আমানত সংগ্রহ।
২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও মধুমতি গ্রুপের মালিক মাসুদ রানা অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, তারপর থেকে তার সহযোগী ও প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা ব্যাক্তিরা লাপাত্তা। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করে গ্রাহকরা এখন পথে নিজেদের আমানত ফিরে পাওয়া নিয়ে পড়েছেন চিন্তায়, তারা এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান। তাদের দাবি সংস্থাটির বিভিন্ন সম্পতি প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে, গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ করা হোক।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রহকরা শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাড়ে ৮লাখ টাকা বিনিয়োগ করা গ্রাহক নাসিমুদ্দিন।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, সরকারি নিবন্ধনের কথা বলে ও সেই সময় তাদের কর্মসূচীতে বিভিন্ন ইউএনও সহ অনেকেই উপস্থিত থাকতেন দেখে তারা সরল বিশ^াসে বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রথম দিকে কিছুদিন লভাংশ পরিশোধ করলেও, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর মধুমতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যান, এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্য যে সকল পরিচালক ছিলেন তারাও আতœগোপনে।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, এঘটনার পর মানববন্ধন কর্মসুচি করাসহ প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও লাভ হয়নি। আদালতের আশ্রয় নেয়া হলেও প্রভাবশালী মধুমতি গ্রুপের লোকজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে তাদের নি¤œ আদালতে হাজিরা দিতে বলা হলেও তা তারা দেয়নি।
এ ব্যাপারে মধুমতি গ্রুপের আত্মগোপনে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদা খাতুনসহ অন্যান্য পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment