রাস্তার পাশের বাদাম বিক্রেতা, ভুট্টা বিক্রেতা, কিংবা যিনি রাস্তা ক্লিন করেন, তাদের সাথে আমি কথা বলতাম। যখনই মন খারাপ হত তখনই তাদের সাথে কথা বলতাম। তখনই মনে হত এ মানুষ গুলোর সেবা করার জন্য হলেও আমাকে ডাক্তার হতে হবে। তখন মনে একটা জোর আসত। আমি সাধারণ মানুষের ডাক্তার হতে চায়, খুব সহজেই যেন মানুষ চিকিৎসা পায় সেই চেষ্টা করতে চায়।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ২য় হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ এমন ইচ্ছার কথায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন রাজশাহী থাকার সময় যখন মন খারাপ হত তখন আমি এমন সব সাধারন মানুষের সাথে কিছুক্ষন কথা বলতাম, তখন মনে হত তাদের জন্য হলেও আমাকে ডাক্তার হতে হবে।
তাহলে কি বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমাজের এ শ্রেনীগুলো চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নে আব্দুাল্লাহ বলেন, এমনটা নয়, অনেক ভাল চিকিৎসক আছেন, তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ব্যায়বহুলও বটে। আমি চেষ্টা করব, এসব সাধারণ মানুষকে সহজে চিকিৎসা দিতে।
ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশে ২য় হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আব্দুল্লাহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রাজারামপুর ব্যাঙডুবি পাড়ার মইদুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা নামোশংকরবাটি ভবানীপুর জামে মসজিদের ইমাম।
পড়ালেখা বা প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কে আব্দুল্লাহ বলেন, বাঁধাধরা কোন নিয়ম ছিলো না, যতক্ষন পড়ার প্রয়োজন পড়ত ততক্ষনই পড়তাম। পড়া হয়ে গেলে ঘুমিয়ে যেতাম। ঘন্টা বেধে বাঁধাধরা কোন নিয়ম ছিলো না আমার।
আমার পড়ালেখার জন্য সব পছন্দের বিষয়কে বাদ দিয়েছিলাম, আমার ফুটবল খেলতে পছন্দ, কিন্তু ফুটবল খেলেনি। ঘুরে বেড়াতে পছন্দ কিন্ত ঘুরে বেড়ায়নি। শেষ দিকের তিন মাস আমার ফেসবুক ডিএ্যাকটিভ করে রেখেছিলাম।
আব্দুল্লাহ তার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি তা বাবা মায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য আব্দুল্লাহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি, জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরিমোহন সরকারি উচচ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment