চার বছরে সম্রাটের পেছনে খরচ ১৫ লাখ, শেষ পযন্ত দাম উঠবে কত ?


এ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশী ওজনের ষাঁড়ের নাম সম্্রাট। যার ওজন  প্রায়  ৩২মন। উচ্চতা ৫ফিট ৬ইঞ্চি ও লম্বা  ৭ফিট  ৪¦ইঞ্চি।সম্্রটের মালিক হলো শিবগঞ্জ  উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘী গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে ও শাহাবাজপুর ইউপির  ৫নং ওয়ার্ড সদস্য  জুলফিকার আলি। সরজমিনে তার  সাথে কথা হয় গত বুধবার বিকালে। তিনি জানান এ ষাঁড়টি আমার বাড়িতে  পালিত গাভির বাচ্চা। তার বয়স ৪ বছর।ছোটকালে সম্্রাট  ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত  হলে বাগানে  একা বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমাকে দেখে সে হাম্বা হাম্বা শব্দ করে  এবং তার  চোখ দিয়ে পানি  ঝরছিল। তখনি তাকে বাড়ি নিয়ে এসে সম্্রাট নামে পালতে থাকি। তার খাওয়া ও চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় প্রতিদিন  ১ হাজার টাকা।তার প্রধান খাবার হলো গমের ভূষি, খড়(কাড়ি) খৈল, পাংচং ঘাস ইত্যাদি। তার চিকিৎসা প্রতিদিনই করাতে হয়। তবে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে কোন সহযোগিতা পাইনি। তিনি আক্ষেপের সাথে জানান চিকিৎসার অভাবে কিছুদিন আগে আমর একটি একটি  প্রায় ৪ লাখ টাকা দমের একটি গরু মারা গেছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রণজিত  চন্দ্র  সিংহের নিকট কয়েকদিন গিয়ে কোন পরামর্শ পাইনি। গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করায়। সম্্রাট কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে। গত  বিশ বছর থেকে আমি গরু পালন করলেও সম্্রাটের মত কোন ষাঁড়  বা  গাভীকে  এত তাড়াতাড়ি বাড়তে দেখিনি। সম্্রাটকে আমি ছাড়া কেউ বাড়ির  বাইরে নিয়ে যেতে পারেনা। আমি তার দাম চেয়েছি  ৩০লাখ। তবে কেউ কোন দাম বলেছে কিনা তা তিনি  জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সরজমিনে দেখা গেছে সম্্রাটকে এক নজর দেখার জন্য অনেক মানুষ ভীড় করছে। জুলফিকার আলির ভাষ্য মতে তিনি প্রায় ২০বছর থেকে গরু পালন করেন। পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়েছে প্রায় ৪০লাখ টাকা। প্রতিবছর প্রায় কয়েক লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেন। গরু পালন করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমি প্রমান করতে  সক্ষম হয়েছি যে লেখাপড়া করে মানুষ চাকুরীর পিছনের না ছুটে যদি গরু পালন বা কৃষি কাজ করে। তবে তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী হতে পারবে। তিনি জানান ছাত্রজীবন থেকে গরু পালন করা তার শখ। বর্তমানে  ৪টি গাভী আছে। একটি গাভি প্রতিদিন ১২লিটার করে দুধ দেয়। কিছুদিন আগে ২২লিটার করে দুধ দিত। দুধ বিক্রী করি  ৩৫টাকা লিটার। এক প ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন গরু পালন করিনা ।গরুর ব্যবসাও করি। কোন কোন সময়  ৫০/৬০টি গরু ক্রয় করি এবং তা আবার বিক্্রী করি। গরুর  খাবারের জন্য এক বিঘা জমিতে  পাংচুং ঘাষ চাষ করেছি। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রণজিত চন্দ্র সিংহ, জুলফিকার আলির গরু পালনের মধ্যমে  স্বাবলম্বী হয়েছে স্বীকার করেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তার সাথে  যোগাযোগ করেছি। গতবছর তাকে প্রণোদনার টাকা দেয়া হয়েছে। তার গরুর খামার পরিদর্শনে আমি কয়েকবার গিয়েছি। এমনকি ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিয়েছি। কিছুদিন আগে তার গরুর অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু ছৌঁছানোর আগে গরুটি মারা গেছিল।

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7