কঠোর লকডাউন ঘোষনার প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত। বিক্রেতারায় বলছেন তিনগুন বেচাকেনা হচ্ছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়, বিশেষ করে পেয়াজ ও মুদিপন্যের দোকানে ভিড় ছিলো সবচেয়ে বেশি। কঠোর লকডাউন ঘোষনায় নিত্য পন্য কিনতে ক্রেতারা ছুটে এসেছেন বাজারে।
শহরের বেলেপুকুর মহল্লার আব্দুল হামিদ জানান, সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিবে, তাই বাড়ির জন্য কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছি।
ফাহমিদা শারমিন নামে এক ক্রেতা জানান, জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানদাররা। তিনি বলেন ৫ কেজি পেয়াজ কিনলাম, ২৪০টাকায় অথচ সপ্তাহখানেক আগেও পেয়াজের দাম ছিলো ৩০টাকা কেজি।
মুদি দোকানী মুন্টু কর্মকার জানান, বাজারে শুক্র-শনিবার এমনিতেই বাজারে ক্রেতার ভিড় থাকে, অন্যদিকে লকডাউন দিবে শুনেও অনেকে একসাথে বেশি করে কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছি, তাই একটু বেশি ভিড়।
বাজারের রাস্তার উপরেই বসে পেয়াজ বিক্রেতারা, সেখানে ভিড় একটু বেশিই। প্রায় তিন বছর থেকে পুরাতন বাজারে পেয়াজের বিক্রি করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আজাইপুর মহল্লার কামরুল ইসলাম। তিনি জানালেন, ঈদের সময় যেমন বেচাবিক্রি হয়, তেমনি বিক্রি হয়েছে আজ। তার মতে ‘‘ লকডাউনের গাহাকে (ক্রেতা) বেচাকেনা তিনগুন বেশি।
বাজারে ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা গেছে, তার কয়েকদিন আগেও ছিলো ২৪ টাকা, অন্যদিকে দেশি পেয়াজ ৩২ টাকা কেজিতে কদিন আগে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
বাজার ঘুরে দেখা যায় শুধু পেয়াজই না, অনেক পন্যেরই দাম বেড়েছে, ১০-২০টাকা, বিশেষ করে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় প্রতিটিরই। মিষ্টি কুমড়া ২০টা থেকে ৩০ টাকা, পটল ২৫থেকে ৩৫, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, কুমড়ার জালি ২০ থেকে ৩৫, কাঁচা কলা ৩০-৪০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে মাইকে অনবরত করোনার সচেতনার বার্তা প্রচার করা হচ্ছে, তবে ক্রেতাবিক্রেতাদের এতো ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিনই। তবে অনেকেই মাস্ক পড়ছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
0 Comments:
Post a Comment