মনাকষায় সবার অংশগ্রহনে চলেছে গোরস্থানের সংস্কারের কাজ


শফিকুল ইসলাম,শিবগঞ্জ অফিস প্রধান: এ দুনিয়ায় আমরা নিজের উন্নতির জন্য কতই চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যে স্থানে  মৃত্যুর পর  আমাদের অনন্তকাল  থাকতে হবে। সে স্থানের  জন্য আমরা কিছুই করিনা । অথচ আমাদের সকলের উচিত সে স্থানটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা। তাই আমি সিদ্ধান্ত গ্রহন করি যে মৃত্যুর পর যেখানে আমাদের অনন্তকাল ধরে ধাকতে হবে সে স্থানটি মুসলমানদের জন্য গোরস্থান সংস্কার ও সংরক্ষণ করা সকল মুসলমানের উচিত। এলাকাবাসীর কাছে এ প্রস্তাব দিলে তারা সমর্থন দেয় এবং একটি পরিচালনা কমিটি গঠনের পরামর্শ দেয়। সে মোতাবেক আমি গত তিন বছর আগে এলাকার সব পেশার মানুষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তারা আমাকে সভাপতি ও মাসুম মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে  ৪১সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারপরই আমরা প্রথমত: এলাকার বিভিন্ন জনের নিকট হতে বাঁশ চেয়ে েেগারস্থানের চারদিন জাফরি দিয়ে ঘেরাও করি  গোরস্থান এলাকায় প্রায় ৩৮হাজার টাকা ব্যয়ে  ৫৪৮টি মেহগণি ও ২৪টি আম গাছ লাগানো হয়েছে।গত বছর থেকে গোরস্থান সংস্কারের কাজ শুরু করেছি।কথাগুলো বলেন উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের মরহুম এত্তাজ মিঞার ছেলে  ও সাতরশিয়া সরকারী  গোরস্থানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারুক মিঞা।তিনি প্রায় এক বছর ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোরস্থানে অবস্থান ও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ইট বালি , রড ও সিমেন্ট সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকছেন। এ কাজটি তার কাছে এখন বড়ই আনন্দেরর।তিনি বলেন প্রায় ১শ বছর পুর্বে মনাকষা  ইউনিয়নের মরহুম ইসমাইল রেজা চৌধুরী রাজনগর মৌজার সাতরশিয়া এলাকার তিন একর জমি (প্রায় ৯বিঘা ) গোরস্থান করার জন্য দান করেন। যা পরবর্তীতে খাস খতিয়ানে যায়।পরে আরো প্রায়  সাড়ে ২২শতক জমি ( ১৫ কাঠা) কয়েকজন দান করেন।এ গোরস্থানে শুয়ে আছে হাজারো মানুষ। অথচ গোরস্থানের কোন পরিচয় ছিল না। ছিল জঙ্গলে ভরা। প্রথমে জঙ্গল পরিস্কার করি। তার পর ঘেরার পরিকল্পনা করি। অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন রাজমিস্ত্রীর সাথে আলাপ করলে তারা জানান গোরস্থানে যাবার রাস্তা সহ প্রাচীর দিতে প্রায় ৪২/৪৫ লাখ টাকা খরচ হবে। তার মধ্যে শুধু রাস্তার জমি ক্রয় করতে ৯লাখ টাকা, রড ক্রয় করতে সাড়ে ১৮লাখ টাকা, বালি ক্রয় করতে ৬০ হাজার টাকা, সিমেন্ট ক্রয় করতে ৪ লাখ টাকা ও মিস্ত্রী খরচ প্রায় ৩ লাখ টাকা।এপর্যন্ত সংগ্রহ  হয়েছে স্থানীয় সাংসদের প্রতিশ্রুতির ২লাখ টাকা ও মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যনের পৌনে তিন লাখ সহ প্রায় ১০লাখ টাকা । আরো প্রয়োজন প্রায়  ৩০/৩৫লাখ টাকা। পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারুক মিঞা ও সাধারণ সম্পাদক মাসম মাস্টার সহ অন্যান্য সদস্যরা জানান আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সকলের চিরস্থায়ী ঠিকানার সংস্কারের কাজ শেষ করবো ইনশাল্লাহ।গোরস্থানের উন্নয়নে সকলের অংশ গ্রহন করার সুবিধার্থে অগ্রণী ব্যাংক মনাকষা শাখায় একটি হিসাব নম্বর খোলা হয়েছে, নং  ১৪৮৪১। প্রয়োজনে ফোন নম্বর০১৭১২৮০৯৭৫৫। তিনি সহ কমিটির সকলেই এ ভাল কাজটি সম্পূর্ন করার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা ও দোয়া প্রত্যাশী।

 

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About nahid

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7