আবারো চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি বেসরকারি সংস্থা, গ্রাহকদের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নমোশংকরবাটি মহল্লার চরা গাঁ মোড়ে দিগন্ত কুসুমকলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামে ওই সংস্থার প্রধান কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই প্রতারিত গ্রাহকরা তালাবদ্ধ কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন। এদের কেউ ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউ ছিলেন দিনমজুর, কেউবা রিক্সা চালাতেন, এমনকি কেউ বাসাবাড়িতে কাজ করেও কিছু টাকা এখানে সঞ্চয় করেছিলেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
তেমনি একজন হাসান আলী, পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, কষ্টের টাকা পনে ৬লাখ টাকা খুয়িয়ে তিনি এখন প্রতিদিনই আসেন এখানে। হাসান বলছিলেন ‘‘ ভাল লাভ দিবে বলেছিলো, আর এলাকার অনেকেই রেখেছে তাই বিশ্বাস করে এই সমিতিতে টাকা জমা করেছিলেন, দুই বইতে ৪৮ হাজার টাকা করে মত জমা হয়েছিলো, আর গতবছর ৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলাম, জানুয়ারীর ৫ তারিখ টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। তার আগেই টাকা মেরে দিয়ে দগন্ত কুসুমকলি মালিক পালিয়ে গেছে। মনে আশা ছিলো একসাথে ৬লাখ টাকা পাব, ধানের ব্যবসা করব, আমার সারা জীবনের কষ্টের টাকা শেষ হয়ে গেল। এখন কার কাছে যাব , কিভাবে পাব এই চিন্তায় দিন পার করছি।
এর আগেও বারোঘরিয়া এলাকার সিয়াম নামে একটি এনজিও গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
জানা যায়,২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রয়ারী, চাঁপাইনবাগঞ্জ পৌর এলাকার নমোশংকরবাটি মহল্লার চরা গাঁ মোড়ে দিগন্ত কুসুমকলি নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন করেন মোঃ আব্দুল্লা মামুন।
এনজিওটির সহকারি ম্যানেজার আকতারা খাতুন জানান, নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লা মামুন নামোশংকরবাটি, বটতলাহাট মসজিদপাড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম, জিয়াউর রহমান বাবু, আব্দুল হক, সাদেকুল ও সিরাজুলের বেলাল কাছ থেকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা ডিপোজিট নিয়েছেন। গত ২০ দিন যাবত সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের নাগাল না পেয়ে প্রতিদিনই মাঠ কর্মীদের কাছে গ্রাহকরা ভিড় করছেন, আমরাও কোন উত্তর দিতে পারছিনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইদুর রহমান জানান, এনজিওটি’র নির্বাহী পরিচালক প্রায় ১ হাজার ৫’শ গ্রাহকের প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা ফেরতের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
দিগন্ত কুসুমকলি’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জেলা সমাজসেবা দপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম জানান, জেলায় প্রায় ৪৭০টি এনজিও তাদের সামাজিক কার্যক্রমের জন্য অনুমোধন পেয়েছেন, এরমধ্যে ১৫টি ঋণ প্রদান কার্যক্রম চালানোর অনুমতি আছে। তবে দিগন্ত কুসুমকলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ঋণ কার্যক্রমের অনুমতি ছিলো না, এই রকম যারা অবৈধভাবে ঋন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক জানান, ব্যাপারটি দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্থরা লিখিত অভিযোগ দিলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তেমনি একজন হাসান আলী, পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, কষ্টের টাকা পনে ৬লাখ টাকা খুয়িয়ে তিনি এখন প্রতিদিনই আসেন এখানে। হাসান বলছিলেন ‘‘ ভাল লাভ দিবে বলেছিলো, আর এলাকার অনেকেই রেখেছে তাই বিশ্বাস করে এই সমিতিতে টাকা জমা করেছিলেন, দুই বইতে ৪৮ হাজার টাকা করে মত জমা হয়েছিলো, আর গতবছর ৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলাম, জানুয়ারীর ৫ তারিখ টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। তার আগেই টাকা মেরে দিয়ে দগন্ত কুসুমকলি মালিক পালিয়ে গেছে। মনে আশা ছিলো একসাথে ৬লাখ টাকা পাব, ধানের ব্যবসা করব, আমার সারা জীবনের কষ্টের টাকা শেষ হয়ে গেল। এখন কার কাছে যাব , কিভাবে পাব এই চিন্তায় দিন পার করছি।
এর আগেও বারোঘরিয়া এলাকার সিয়াম নামে একটি এনজিও গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
জানা যায়,২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রয়ারী, চাঁপাইনবাগঞ্জ পৌর এলাকার নমোশংকরবাটি মহল্লার চরা গাঁ মোড়ে দিগন্ত কুসুমকলি নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন করেন মোঃ আব্দুল্লা মামুন।
এনজিওটির সহকারি ম্যানেজার আকতারা খাতুন জানান, নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লা মামুন নামোশংকরবাটি, বটতলাহাট মসজিদপাড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম, জিয়াউর রহমান বাবু, আব্দুল হক, সাদেকুল ও সিরাজুলের বেলাল কাছ থেকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা ডিপোজিট নিয়েছেন। গত ২০ দিন যাবত সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের নাগাল না পেয়ে প্রতিদিনই মাঠ কর্মীদের কাছে গ্রাহকরা ভিড় করছেন, আমরাও কোন উত্তর দিতে পারছিনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইদুর রহমান জানান, এনজিওটি’র নির্বাহী পরিচালক প্রায় ১ হাজার ৫’শ গ্রাহকের প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা ফেরতের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
দিগন্ত কুসুমকলি’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জেলা সমাজসেবা দপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম জানান, জেলায় প্রায় ৪৭০টি এনজিও তাদের সামাজিক কার্যক্রমের জন্য অনুমোধন পেয়েছেন, এরমধ্যে ১৫টি ঋণ প্রদান কার্যক্রম চালানোর অনুমতি আছে। তবে দিগন্ত কুসুমকলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ঋণ কার্যক্রমের অনুমতি ছিলো না, এই রকম যারা অবৈধভাবে ঋন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক জানান, ব্যাপারটি দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্থরা লিখিত অভিযোগ দিলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমাদের ইউটিউব চ্যালেন সাবস্কাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।