শেখ হাসিনা সেতুর পাশে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র : ওয়াচ টাওয়ারে দেখা যাবে আমের রাজধানী


আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আর এ খ্যাতির কারণেই অনেকেই প্রাচীন গৌড়ের এ জনপদে বেড়াতে আসেন। দিন দিন সেই ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, যদিও এখনো এ জেলা শহরে ভালমানের আবাসনসহ পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো খুব বেশি গড়ে উঠেনি। সেই না থাকার দিকটি এবার কিছুটা অবসান হতে চলেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শেখ হাসিনা সেতুর পাশে ৪৪ একক জায়গা নিয়ে সবুজের মাঝে গড়ে উঠছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এরপর সবপ্রক্রিয়া সম্পূন্ন হতেই পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়। অবশেষে প্রকল্প এলাকায় গত কয়েকদিন থেকে কাজের তোড় জোড় শুরু হয়েছে ।

শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটা সাইনবোর্ডে লেখা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের নির্ধারিত স্থান। একটু এগিয়ে যেতেই দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। সেখানে পাওয়া গেলে, পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদ হাসান। তিনি জানালেন, তারা মাটি পরিক্ষার কাজ করছেন, সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য এ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বন্যায় যেন ডুবে না যায়, সেই দিক চিন্তা করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হবে। আর জমি উন্নয়নের এ কাজ শেষ হতে ৬ মাস মত লাগবে। তারপরই মূল অবকাঠামো নির্মানের কাজ শুরু হবে।
 প্রকৌশলী জাহিদ হাসান জানান, পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে পাঁচ তারকা হোটেলসহ সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে এর ওয়াচ টাওয়ার। এ সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারে চড়ে পর্যটকরা পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরই দেখতে পাবেন, মনে হবে সবুজ আর সবুজ।

বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহুরে মানুষের জন্য একটু ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুব বেশি জয়গা নেয়, তবে শেখ হাসিনা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সেখানেই অনেকেই আসেন একটু প্রকৃতির সানিধ্য পেতে। শুক্রবার ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে সেতু এলাকার ঘুরতে এসেছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুর্শিদা খাতুন রিমা। তিনি বলছিলেন, একটু সময় কাটানোর মত শহরে কোন জায়গা নেয়, একটু প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ খুবই কম, তবে এখানে পর্যটন কেন্দ্রটি অবশেষে হচ্ছে, কাজ করছে শ্রমিকরা দেখে ভাল লাগল।

এদিকে পর্যটন কেন্দ্রটি কাজ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। দুরুল হোদা নামে একজন জানান, অনেকদিন থেকে পার্ক হবে শুনছিলাম, এখন কাজ শুরু হচ্ছে। এতে করে এখানকার রাস্তাঘাটও আরো ভাল হবে, এলাকার উন্নতি হবে। পার্কের লোকজন ঘুরতে আসবে, তখন এলকার ব্যবসা বানিজ্যও বাড়বে, লোকজনের কাজের সুযোগ হবে।
গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী  জাহিদ হাসান জানান, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে প্রকল্প প্রস্তাবনায় থাকা এ ব্যায় খানিকরা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7