মনাকষায় হত্যাদিবসে নেই কোন কর্মসূচী


মোহা: সফিকুল  ইসলাম: আমি বড়ই হতভাগ্য। ১৯৭১ সাল থেকে শুধু হারিয়ে যাচ্ছি। পাইনি কিছু। কারণ হলো ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার আত্মীয়স্বজনরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার দায়ে যুদ্ধের সময় ৭ অক্টোবর আমার পিতা শহীদ মুসলিম উদ্দিন, আমার ৫ জন চাচাসহ খড়িয়াল,সিংনগর,হাউসনগর গ্রামের ১৩জন নিরীহ জন মানুষ দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাক বাহিনী ধরে নিয়ে আসে।তারপর  মনাকষ্ াহুমায়ূন রেজা উচ্চবিদ্যালয়ের পিছনে গুলি করে হত্যা করে এক রাজাকারের জমিতে সামান্য  গুলি করে পুঁতে ফেলে।  এঘটনায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমি বাদী হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় আজ পর্যন্ত বিচার পাইনি। এমনকি এ দিন উপলক্ষে শহীদের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
 অথচ এ মনাকষাতে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ বড় বড় আওয়ামীলীগ নেতার  জন্ম।এ দিনটি আসলেই কান্না ছাড়া আমার  আর কোন সম্বল আমার নেই।  আগেব তাড়িত হয়ে  কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেলেন  ৭১সালের পাকবাহিনীর হাতে শহীদ  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নাধীন পারচৌকা গ্রামের মুসলিম উদ্দিনে ছেলে বদিউর রহমান বুদ্ধু। তিনি আরো বলেন রাজাকাররা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি। পরবর্তীতে রাজাকাররা  আমাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চরম হয়রানীও করেছে। দিনটি উপল্েক্ষ কেন কোন কর্মসূচী নেয় হয় না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মনাকষা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার শ্রী প্রভাত সিংহ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে  কোন কর্মসূচী নেয়া হয় না। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ মোয়াজ্জেম হোসেন মুন্টু বলেন, দু:খ জনক হলেও সত্য যে,মনাকষার গণহত্যা দিবস সম্পর্কে  আমাদের শহীদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কোন গুরুত্ব নেই। অথচ এ ১৩জন একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয় হওয়ার কারনে নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন।  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মুসলিম  উদ্দিনের নাতি অধ্যক্ষ সারওয়ার জাহান শেরফান বলেন, উদ্যোগ ও চর্চার অভাবে দিনটি উপেক্ষিত থেকে যায়। নিজেকে ব্যর্থ স্বীকার করে বলেন,৭১এর স্মৃতি রক্ষার্থে এ দিবসটি গুরুত্ব দেয়া অনিস্বীকার্য এবং পরবর্তীতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। জেলা আওয়ামীলীগের  সিনিয়র সহসভাপতি ও  মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম বলেন, কোন প্রচার- প্রচারনা না থাকায় দিনটি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের   সহযোগিতা না করার অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তারা কোনদিনই এদিনটি উপলক্ষে কোন সহযোগিতা  চাওয়াতো দূরের কথা কোন কথাই বলেনি।জেলা যুবলীগের  সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা তোহিদুল আলম টিয়া বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের নেতৃত্বদানে অবহেলা ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদাসীনাই দিনটি উপেক্ষিত থাকার মূল কারন। কিন্তু দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচী নেয়া অপরিহার্য। ৪৩ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১শিবগঞ্জের সংসদ সদস্য ডা: সামিল উদ্দিন আহমদ শিমুল শহীদের আত্মার মাগফেরাত  কামনা করে বলেন ৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে এদের অবদান অনিস্বীকার্য।তবে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে শিবগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় পানি বন্দী ও ক্ষতিগ্রস্থদের সেবায় ব্যস্ত থাকার কারনে  কর্মসূচী নেয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে আমি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের  মাধ্যমে দিনটির যথাযথ মর্যদা দেয়া হবে।




















কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7