ব্যবসা গুটিয়েছে ৩০ জন,টিকে আছেন ২০ চামড়া ব্যবস্যায়ী


চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ বছর আগেও কাঁচা চামড়া সংগ্রহের কাজ করতেন ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০ ব্যবসায়ী। তবে বছরের পর বছর ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া টাকা পড়ে থাকা সহ নানা কারনে মূলধন হারিয়ে অন্তত ৩০ ব্যবসায়ী এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন বলে বর্তমান ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকায় চামড়ার আড়ৎগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে গিরে চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীর। এখানকার চামড়া ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে নাটোরের মোকামে ও ঢাকার ট্যানারিতে সরবারাহ করে থাকেন। তারা বেশ কয়েকজন মিলেই এ ব্যবসাটা করে আসছেন, তাদের প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে ট্যানারী মালিকদের কাছে।
আরেক ব্যবসায়ীর মাসুদ বলেন, ব্যাংক ঋনের কোন প্রয়োজন নেই। ট্যানারী মালিকরা পাওনা টাকা পরিশোধ করলেই আমাদের ব্যবসা চাঙ্গা হবে। তিনি বলেন, এটিই আমাদের জাত ব্যবসা, যতই সংকট হোক তারপরও ব্যবসাটা করতেই হবে।
এদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজি নিয়ে ঈদের সময় চামড়া কিনে চামড়ার আড়ৎ গুলোতে সরবারাহ করেন, তাদের প্রতি নিমতলার এসব চামড়া ব্যবসায়ীদের পরামর্শ, তারা যেন নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনেন, তাহলে বাজারে ঠিক থাকবে, মৌসুমী ব্যবসায়রাও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না।
এদিকে নিমতলার একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ভারতে চামড়া পাচার হয়ে যাবে এমন কথা প্রতিবছরই বলা হয়, কিন্তু দেশেই চামড়া দিয়ে আমরা শেষ করতে পারি না, কেন ভারতে যাবে, আর ভারতে চামড়া পাঠানো  লাভজনকও নয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনজুর হোসেন বলেন, আগে ছোটবড় মিলিয়ে ৫০ জন ব্যবসা করলেও এখন চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত আছে ২০ জন। তিনি বলেন, জেলার সব চামড়া ব্যবসায়ীর অন্তত ১০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে ট্যানারী মালিকদের কাছে। এ টাকা গুলো পেলে চামড়া কিনতে আমাদের সহজ হত, তারপরও ঈদকে ঘিরে আমরা যে যার মত প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে জেলা পর্যায়ের  চামড়া ব্যবসায়ীদের একটু সহযোগিতা করলে, আরো ভাল থাকতে পারবে ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের কোন আশংকা নেই বলেও জানান।
ব্যবসায়ীরা সীমান্তে চামড়া পাচারের কোন আশংকা না দেখলেও বাড়তি সর্তকতা হিসাবে সীমান্তে নজরদারী বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিজিবি। ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক, লে. কর্ণেল মাহবুবুর রহমান খান জানান, সীমান্ত পেরিয়ে কোন চাড়মা যাতে ভারতে যেতে না পারে, সেই লক্ষে ঈদের দিন থেকে নজরদারীর জন্য প্রতিটি সীমান্ত ফাঁড়িকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।




কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7