আমের জেলা খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চারিদিকে তার সবুজের সমারহ। তবে এ সবুজের মাঝে যেন বিষফোড়ার মত গড়ে উঠেছে যত্রতত্র ইটভাটা। অপরিকল্পিত এসব ইট ভাটার কালো ধোয়ায় দিন দিন বিবর্ন হচ্ছে সবুজের সমারহ।
আম বাগানে দেখা দিচ্ছে ব্লাকটিপ রোগ, শুধু আম নয়, ইট ভাটার পাশের আশে পাশের জমি অন্য গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবেশগত ও আর্থিক এ ক্ষতির কথা চিন্তা করে ফল গবেষকরা আম বাগানের আশেপাশে ইট ভাটা না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বহালাবাড়ি মোড়ের পাশের একটু সড়কে এগিয়ে গেলিয়ে বেশ কয়েকটি ইটভাটা চোখে পড়বে। এসব ইটভাটায় আমের ক্ষতির কথা তুলে ধরে, আম বাগানের পাশে ইট ভাটা বন্ধের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা। বহলাবাড়ি মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ সড়কে সকাল ১০ টাকা থেকে আধাঘন্টা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করে ক্ষতিগ্রস্থ আম বাগান মালিকরা। এসময় তারা ব্লাকটিপ রোগে আক্রান্ত আম রাস্তায় ফেলে দেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাসদ শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আজিজুর রহমান আজিজ। এসময় তিনি বলেন, এই এলাকায় নিয়মনীতি না মেনেই ৭টি ভাটা গড়ে উঠেছে, এসব ভাটার বিষাক্ত ধৌয়ায় আমের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন শত শত বাগান মালিক।
যুক্তরাধাকান্তপুরের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, ৭-৮ বছর আগেও আম ভাল হয়, কিন্ত ভাটার কারনে গত দুই বছর থেকে আমে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে, এতে করে কোন ব্যবসায়ী বাগান কিনতে চাচ্ছে না। আমাদের পত্রিক সম্পতি এ বাগানের উপর সারাবছর চলি. অনেক কষ্টে আছি, অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। আবু তাহেরের পাশেই আরেক বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে পর্যান্ত আম থাকলেও অনেক আমই ব্লাকটিপ রোগে আক্রান্ত। এই বাগানের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা এনামুল হক জানান, শুধু তার বাগানই নয়,ছত্রাজিতপুর, বহালাবাড়ি, রশিক নগর, ছোটচক, বড় চক, কমলাকান্তপুরসহ শিবগঞ্জ উপজেলার অনেক এলাকার বাগানেরই একই ধরনের অবস্থা।
স্থানীয়রা বাগান গুলোতে আমের ব্লাকটিপ রোগ যে ইটভাটার কারনে, এটা নিজেরাও বুঝেছেন, অনেকের মুখেই তাই আমের ব্লাকটিপ রোগটির নাম হয়ে গেছে ‘ আমে ভাটা ল্যাগা গেছে’।
শুধু আম নয়, এই এলাকার কলাচাষী রকি জানান, তার কলা গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে এতে করে প্রভাব পড়েছে কলার ফলনেও।
ফল গবেষকরা বলছেন,ইট ভাটার চিমনী থেকে যে ধৌয়া বের হয় তাতে সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনো অক্সাইড থাকে। এরফলেই আম সহ যে কোন ফসলেই ব্লাকটিপ রোগ সৃষ্টি হয়, অনেক সময় যদি ব্লাকটিপ না হয় তাহলে আমের আকৃত্তি ছোট বা আঙ্খিত হয় না। সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনো অক্সাইডের প্রভাবে গাছে বোরন সৃষ্টি হয়না, এরফলেই এ রোগ হয়। তাই গবেষকরা বলছেন, আম বাগানের পাশে ইট ভাটা না রাখাই ভাল। আর যদি থাকে তাহলে অবশ্যই আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ও সুউচ্চ চিমনী ব্যবহার করতে হবে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বেজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটার কালো ধোয়ার কারনে আমের ব্লাকটিপ রোগ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় এ রোগে আম বাগান গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, একথা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে একটা চিঠিও আমরা পেয়েছি। আমরা আম বাগানগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
আম বাগানে দেখা দিচ্ছে ব্লাকটিপ রোগ, শুধু আম নয়, ইট ভাটার পাশের আশে পাশের জমি অন্য গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবেশগত ও আর্থিক এ ক্ষতির কথা চিন্তা করে ফল গবেষকরা আম বাগানের আশেপাশে ইট ভাটা না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বহালাবাড়ি মোড়ের পাশের একটু সড়কে এগিয়ে গেলিয়ে বেশ কয়েকটি ইটভাটা চোখে পড়বে। এসব ইটভাটায় আমের ক্ষতির কথা তুলে ধরে, আম বাগানের পাশে ইট ভাটা বন্ধের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা। বহলাবাড়ি মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ সড়কে সকাল ১০ টাকা থেকে আধাঘন্টা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করে ক্ষতিগ্রস্থ আম বাগান মালিকরা। এসময় তারা ব্লাকটিপ রোগে আক্রান্ত আম রাস্তায় ফেলে দেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাসদ শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আজিজুর রহমান আজিজ। এসময় তিনি বলেন, এই এলাকায় নিয়মনীতি না মেনেই ৭টি ভাটা গড়ে উঠেছে, এসব ভাটার বিষাক্ত ধৌয়ায় আমের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন শত শত বাগান মালিক।
যুক্তরাধাকান্তপুরের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, ৭-৮ বছর আগেও আম ভাল হয়, কিন্ত ভাটার কারনে গত দুই বছর থেকে আমে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে, এতে করে কোন ব্যবসায়ী বাগান কিনতে চাচ্ছে না। আমাদের পত্রিক সম্পতি এ বাগানের উপর সারাবছর চলি. অনেক কষ্টে আছি, অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। আবু তাহেরের পাশেই আরেক বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে পর্যান্ত আম থাকলেও অনেক আমই ব্লাকটিপ রোগে আক্রান্ত। এই বাগানের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা এনামুল হক জানান, শুধু তার বাগানই নয়,ছত্রাজিতপুর, বহালাবাড়ি, রশিক নগর, ছোটচক, বড় চক, কমলাকান্তপুরসহ শিবগঞ্জ উপজেলার অনেক এলাকার বাগানেরই একই ধরনের অবস্থা।
স্থানীয়রা বাগান গুলোতে আমের ব্লাকটিপ রোগ যে ইটভাটার কারনে, এটা নিজেরাও বুঝেছেন, অনেকের মুখেই তাই আমের ব্লাকটিপ রোগটির নাম হয়ে গেছে ‘ আমে ভাটা ল্যাগা গেছে’।
শুধু আম নয়, এই এলাকার কলাচাষী রকি জানান, তার কলা গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে এতে করে প্রভাব পড়েছে কলার ফলনেও।
ফল গবেষকরা বলছেন,ইট ভাটার চিমনী থেকে যে ধৌয়া বের হয় তাতে সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনো অক্সাইড থাকে। এরফলেই আম সহ যে কোন ফসলেই ব্লাকটিপ রোগ সৃষ্টি হয়, অনেক সময় যদি ব্লাকটিপ না হয় তাহলে আমের আকৃত্তি ছোট বা আঙ্খিত হয় না। সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনো অক্সাইডের প্রভাবে গাছে বোরন সৃষ্টি হয়না, এরফলেই এ রোগ হয়। তাই গবেষকরা বলছেন, আম বাগানের পাশে ইট ভাটা না রাখাই ভাল। আর যদি থাকে তাহলে অবশ্যই আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ও সুউচ্চ চিমনী ব্যবহার করতে হবে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বেজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটার কালো ধোয়ার কারনে আমের ব্লাকটিপ রোগ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় এ রোগে আম বাগান গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, একথা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে একটা চিঠিও আমরা পেয়েছি। আমরা আম বাগানগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।