আজ ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলামিত্রের ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী

ইলামিত্রের তেভাগা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও যাদের জন্য এ আন্দোলন ছিল, আজো সেসব আদিবাসী কৃষকরা বঞ্চিত। মূলতঃ মোট উৎপাদিত ফসলের তিনভাগের দুইভাগ পাবে চাষী, একভাগ জমির মালিক-এই দাবি থেকেই তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত। আর ১৯৪৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার চন্ডীপুর, কেন্দুয়া, কুসমাডাঙ্গা, রাউতাড়া, ধরমপুর ও ঘাসুড়া এলাকায় সংগঠিত হয় এই ঐতিহাসিক আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মহিয়সী নেত্রী ইলা মিত্রের আজ (শনিবার) ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইলামিত্রের মৃত্যুবার্ষিকীর আগ মুহুর্তে সেই আন্দোলনের সহযোদ্ধা কুসবা গ্রামের চুনকা হেমরমের ভাই লাল হেমরম বলেন, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত কৃষক-শ্রমিকদের নায্য অধিকার পাইয়ে দেয়ার জন্য এ আন্দোলন হলেও আজো আদাবাসীরা জমিহারা, জোতদার কর্তৃক নিষ্পেষিত এবং বঞ্চিত রয়ে গেছে। এমনকি তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তী নেত্রী ইলামিত্রের মৃত্যুবার্ষিকী তেমনভাবে পালন করা হলেও তার নামে গড়ে উঠেনি তেমন কোন প্রতিষ্ঠান। লাল হেমরম এ মহিয়সী নেত্রীর নামে রাস্তা, স্কুল, কলেজ নির্মাণ করে তার আদর্শকে ধরে রাখার আহ্বান জানান।
আদিবাসী মাতলা মাঝির চাচাতো ভাই রাজা মনহু জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুরে জমিদার বাড়ীর ছেলে রমেন মিত্রের স্ত্রী হয়েও ইলামিত্র খেটে খাওয়া শোষিত মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা এ উপমহাদেশে বিরল। তাঁর মৃত্যুর পর কেন্দুয়ায় স্মৃতিসৌধ, মঠ সংস্কার, একটি রাস্তা ও  পাঠাগার তৈরি করা হলেও, তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকায় গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান এবং তা জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী জেলায় যথাযথভাবে সর্বত্র পালনের দাবী করেন।
এদিকে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ইলা মিত্রের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইলামিত্র মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে নাচোলের কেন্দুয়ায় তাঁর স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গীতা পাঠ, পূজা-অর্চণা, ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, তেভাগা আন্দোলন চলাকালে ইলা মিত্র ১৯৫০ সালে ৭ জানুয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলষ্টেশনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় চলে যান এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভায় সিপিএম থেকে ৪বার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কলকাতায় মারা যান।


কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7