নাচোল অফিস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তার অভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে দুই গ্রাম ইসলামপুর চরকডাঙ্গা ও অমৃতপুরের আড়াইশ’ পরিবার। বছরের পর বছর আশা নিয়ে পথ চেয়ে থাকলেও কাঁচা রাস্তাটি আজ অবধি পাকা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম নাকাল পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবিলম্বে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে দুই গ্রামবাসী।
নাচোল-আমনুরা সড়কের বটতলা নামক স্থান থেকে পূর্ব দিকে ইসলামপুর চরকডাঙ্গা ও অমৃতপুর গ্রামের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে। এর মধ্যে ইসলামপুর চরকডাঙ্গায় প্রায় ২২০ এবং অমৃতপুরে প্রায় ৪০ পরিবারের বসবাস। দুই গ্রাম মিলিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৫০। একসময়ের আদিবাসী অধ্যুষিত ইসলামপুর চরকডাঙ্গা গ্রামটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বসতি ষাট বছর আগে গড়ে উঠলেও আজ পর্যন্ত চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা তৈরি হয়নি। তাছাড়া বর্ষাকালে চলাচলে চেনা দায় প্রকৃত কাঁচা রাস্তা কোনটি।
অমৃতপুর গ্রামের শ্রী হীরা মল্লিক জানান, ‘রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। দুর্ভোগকে নিত্যসঙ্গী করে প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
ইসলামপুর চরকডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী আবদুল আলিম বলেন, ‘বর্ধিষ্ণু হলেও শুধু পাকা রাস্তার অভাবে আমাদের গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে না। বিশেষ করে রাস্তার অভাবে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে না পারার জন্য। তাছাড়া প্রাইমারির শিক্ষার্থীদেরও প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হচ্ছে। অবিলম্বে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি পাকা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এ বিষয়ে ৪নং নেজামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাস্তার দিক দিয়ে আমার ওয়ার্ডটি খুবই অবহেলিত। রাস্তা নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করতে পারছি না।’
নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক বলেন, ‘নেজামপুর একটি বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন। এখানে অনেক কাঁচা রাস্তা রয়েছে। কিছুদিন আগেও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেগুলো সংস্কারের জন্য কাবিখা প্রকল্প বরাদ্দের দাবি তুলে ধরেছিলাম।’
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি।

