কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কামারশালা গুলোতে, সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলছে তপ্ত লোহাকে পিটিয়ে দা, ছুরি, কোপতা তৈরীর কাজ। জেলা শহরের কয়েকটি কামারশালা ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র অক্ট্রয়মোড় এলাকার একটি কামারশালায় কথা হয়, এর মালিক শ্রী মতি কর্মকার। তিনি জানালেন, ঈদের সময় তাদের কাজের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়, এবছর কয়লার দাম খানিকটা বাড়ায় তারা মজুরী কিছুটা বাড়িয়েছেন। গত বছর ৯০ টাকা করে টিন কয়লা কিনলেও ঈদের আগে সেই কয়লা ১২০টাকা টিন কিনতে হচ্ছে। তারপরও বাড়তি কাজে তার আয় ভালই হচ্ছে বলে জানান। আর এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে তিনি দুইজন শ্রমিকও নিয়েছেন, যারা ছুরি দা গুলো ধারালো করে তোলার কাজ করছেন।
কামারশালা গুলোতে, পুরানো দা,বটি, কোপতা শান দেওয়ার মজুরী ১০০টাকা, সেই সাথে নতুন বানিয়ে নিলে ৪০০টাকা কেজি দরে ওজনের উপর দাম নির্ধারিত হচ্ছে।
কামারশালায় কথা হয়, শহরের পুরাতন বাজারের দুলাল ও আসলামের সাথে, জানালেন, পছন্দমত ও মানসম্মত ছুরি কিংবা দা অথবা কোপতা যায়ই হোকনা কেন, কোরবানি ঈদের সময় কামারশালায় আসি। কারণ বাজারে পাওয়া গেলেও মানের বিচারে নিজের পছন্দমত ওজনের তৈরী করে নেওয়ায় ভাল।
এছাড়াও শহরের পৌরসভার সামনেসহ বেশ কিছু গুরত্বপূর্ন মোড়ে ছুরি, দা, কোপতা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই এসব অস্থায়ী দোকানে ভিড় করছেন, দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় ছুরি, দা, কোপতা।