
গুই সাপটিকে উদ্ধার করতে পেরে উচ্ছ¡াসিত সেভ দ্য নেচারের কর্মীরা। সেভ দ্য নেচারের কর্মী কামরুজ্জামান, সেলিম রেজা, কায়সার ইমাম জানান, উদ্ধার অভিযান শুরুর সময় স্থানীয়রা বিভিন্ন কু-সংস্কারের কথা বলছিলেন। কিন্তু পরে তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেন গ্রামবাসী। কেউ কেউ বলেন- আল্লাহ ছেলেগুলোর অনেক ভাল করবে। তবে প্রশংসা শোনার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী হিসেবে বিপন্ন একটি প্রাণীর প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন তারা। এ নিয়েই তাদের সীমাহীন সন্তুষ্টি আর ভাললাগা।
বাংলাদেশে তিন প্রাজাতির গুইসাপ দেখা যায়। সোনা গুই, কালো গুই ও রামগাদি বা বড়গুই। এদের প্রতিটি প্রজাতিই বিপন্ন। গুইসাপ নিয়ে মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা থাকলেও প্রকৃতিপক্ষে এটি খুবই নিরীহ প্রাণী। মানুষ দেখলেই পালিয়ে যায়। গুইসাপকে উপকারী প্রাণী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। কারণ গুইসাপ বিষধর সাপ ও ক্ষতিকর পোকপাকড় খায়। পোকামাকড় খেলে ফসলেরও উপকার করে। তাছাড়া প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই সরীসৃপ প্রাণীটির ভূমিকা অপরিসীম। খাদ্যশৃঙ্খলেও বিশেষ ভূমিকা রাখে প্রাণীটি।