এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানে মসুল্লীরা এসে পৌঁছেছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা। সেই সাথে ইজতেমার কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
ইজতেমার কোন কমিটি না থাকলেও সকলের অংশগ্রহণে গত বছর থেকে এখানে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে। ইজতেমা নিয়ে কাজ করা শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শামসুল হক জানান, পূর্বে ১৩ জানুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও বাড়তি শীতের কথা চিন্তায় নিয়ে পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার থেকে তিন দিনের এ ইজতেমার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি জানান, বুধবার যোহরের নামাযের পর থেকে ইসলামী চিন্তাবীদগণ বয়ান শুরু করবেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমা। তিনি আশা প্রকাশ করেন এবার গতবারের চেয়ে বেশি মুসুল্লীর আগমন ঘটবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ সাবের রেজা আহমেদ জানান, ইজতেমাকে ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান,নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ইজতেমা ময়দানে পুলিশের কন্টোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। গোটা ইজতেমা ময়দান জুড়ে সাদা পোশাকে ছাড়াও পুলিশের দুইশতাধিক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। শেষ দিনে গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও যোগ দেবেন।