চাকুরী পাওয়ার আশা > ১১ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত তিন যুবকের কান্না

চাকুরী সে তো সোনার হরিন, সে সোনার হরিনের খোঁজে জমিজমা বিক্রি করে ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়েও শেষ পর্যন্ত মেলেনি সে সোনার হরিনের দেখা। প্রতারিত তিন যুবক হলো, শিবগঞ্জ উপজেলার আতাউর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম, রমজান আলীর ছেলে নাইমুল ইসলাম রিপন ও লিয়াকত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন।
শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংসাদ সম্মেলন করে নিজেদের প্রতারিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন এ তিন যুবক। 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিন যুবক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও রেলওয়েতে চাকুরী করে দেবেন বলে, শিবগঞ্জ উপজেলার ১১৪ নং রানীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে নেন। 
চাকুরী নামক সোনার হরিনের খোঁজে টাকা দিলেও তা জোটেনি কপালে, ফিরে পায়নি টাকাও। উল্টো ইব্রাহিম খলিল গত ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারী ওই ৩ যুবকের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শেষ ভরসা হিসেবে ওই  টাকা ফিরে পাবার আশায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩ যুবকের পক্ষ থেকে গত ২০১৭ সালের ৪ মার্চ নাইমুল ইসলামের ভাই রাজু আহম্মদ ইব্রাহীম খলিল ও মনিরুল ইসলামকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 
সংবাদ সম্মেলনে ৩ যুবক বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশী বৈঠক হয়েছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ নিয়ে টালবাহানা করছে। 
সালিশে উপস্থিত শওকত আলী ও জহুরুল ইসলাম জানান, তাদের উপস্থিতিতে সালিশে সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল টাকা নেয়ার বিষয়টি একাধিকবার স্বীকার করেছেন। আমরা চাই প্রতারিত ৩ যুবক যেন তাদের দেয়া টাকা ফেরত পাক। 
তবে শিক্ষিত হয়েও ঘুষ লেলদেন করেছেন, আপনারাও নিজেদের অপরাধী মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর মেলেনি এ তিন যুবকের কাছে। তবে বলতে থাকেন আজ আমরা নি:স্ব হয়ে গেছি।
অন্যদিকে তিন যুবকের অভিযোগের বিষয়ে ইব্রাহিম খলিল জানান, চাকুরী দেয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। 
ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে রাজু আহম্মদের দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান জানান, এ মামলাটি তদন্তের শেষপর্যায়ে রয়েছে। 

About chapainawabganj tv

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7