আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে,পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমাদের ছোট নদী কবিতার চরন দুইটি যেন মিলে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর বর্তমান অবস্থা দেখে। শুধু পদ্মা নয়, শুষ্ক মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্য তিন নদীতেও পানির হাহাকার। নদীর এই মৃতপথ যাত্রা দেখে প্রশ্ন পানির নায্য হিস্যা মিলছে কি ?
প্রতিবেশী দেশ, ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে একতরফা পানি অভিযোগটি দীর্ঘ দিনের, অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা না হলেও বাস্তবে শুষ্ক মৌসুমে মরুময়তা আর বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি ও ফসলী জমি। হুমকিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরের মানুষের জীবন।
পদ্মা নদীটি ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং সেই বছরে ২১ এপ্রিল থেকে ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়। এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে এই নদীর গতিপথ। এক সময় সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই নদী ক্রমেই ভাঙতে থাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, নারায়নপুর, পাঁকা, উজিরপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নের অনেক এলাকা। আর ভাঙন কবলিত এসব এলাকা পরিণত হয় ধুধু বালুচরে। যা এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
পাকা ইউনিয়নের রাসেল রহমান নামে একজন জানান , ফারাক্কা বাঁধের আগে আমাদের এখানে পদ্মায় পানি থাকত, এখানকার জমিতে ফসলও হত ভাল, এখন জমিগুলো বালুচরে পরিনত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না পেলে বর্ষা মৌসুমে এতো পানি আসে পদ্মায় যে বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি ফসলী জমি সবই ডুবে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, পাগলা, মহানন্দা ও পূণর্ভবায় শুস্ক মৌসুমে পানি না থাকার পিছনে ফারাক্কার প্রভাবের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম বলেন, ‘পানির গতিপথ যদি বাঁধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তার প্রভাব তো থাকেই’। তবে জানান যা পানি পাওয়া যাচ্ছে তা পদ্মার তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আর হঠাৎ করে বেশি পানি চলে আসলে সৃষ্টি হচ্ছে নদীর ভাঙ্গন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবের কথা তুলে ধরে লংমার্চ করেছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক কানসাট রাজবাড়ী মাঠে গিয়ে শেষ হয়েছিলো সেই লং মার্চ। প্রতিবছর ১৬ মে ভাসাসীর সেই লংমার্চের কথা স্বরন করা হয়।
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
প্রতিবেশী দেশ, ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে একতরফা পানি অভিযোগটি দীর্ঘ দিনের, অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা না হলেও বাস্তবে শুষ্ক মৌসুমে মরুময়তা আর বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি ও ফসলী জমি। হুমকিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরের মানুষের জীবন।
পদ্মা নদীটি ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং সেই বছরে ২১ এপ্রিল থেকে ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়। এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে এই নদীর গতিপথ। এক সময় সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই নদী ক্রমেই ভাঙতে থাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, নারায়নপুর, পাঁকা, উজিরপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নের অনেক এলাকা। আর ভাঙন কবলিত এসব এলাকা পরিণত হয় ধুধু বালুচরে। যা এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
পাকা ইউনিয়নের রাসেল রহমান নামে একজন জানান , ফারাক্কা বাঁধের আগে আমাদের এখানে পদ্মায় পানি থাকত, এখানকার জমিতে ফসলও হত ভাল, এখন জমিগুলো বালুচরে পরিনত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না পেলে বর্ষা মৌসুমে এতো পানি আসে পদ্মায় যে বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি ফসলী জমি সবই ডুবে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, পাগলা, মহানন্দা ও পূণর্ভবায় শুস্ক মৌসুমে পানি না থাকার পিছনে ফারাক্কার প্রভাবের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম বলেন, ‘পানির গতিপথ যদি বাঁধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তার প্রভাব তো থাকেই’। তবে জানান যা পানি পাওয়া যাচ্ছে তা পদ্মার তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আর হঠাৎ করে বেশি পানি চলে আসলে সৃষ্টি হচ্ছে নদীর ভাঙ্গন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবের কথা তুলে ধরে লংমার্চ করেছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক কানসাট রাজবাড়ী মাঠে গিয়ে শেষ হয়েছিলো সেই লং মার্চ। প্রতিবছর ১৬ মে ভাসাসীর সেই লংমার্চের কথা স্বরন করা হয়।
কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।