চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ইউনিয়নের বাগদুর্গাপুর নিরালা গুচ্ছগ্রামের স্বর্ণকণ্যা রোকেয়া খাতুন। শতকষ্টের মাঝেও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে লড়ে যাচ্ছেন। তার পরিশ্রমই তাকে এনে দিয়েছে মার্সাল আর্টের আন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য। পেয়েছেন ১০টির বেশি স্বর্ন পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার। আগামী অলিম্পিকে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে চলছে কঠোর অনুশিলন। আর কঠোর অনুশিলনের ধারাবাহিকতায় ডাক পেয়েছেন ভিয়েতনাম ও কিজিকিসস্থান গামী দলে। জাতীয় দলের হয়ে ভিয়েতনামে আন্তজাতিক মার্সাল আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন রোকেয়া। সেই সাথে কিজিকসস্থানে অনুষ্ঠিত আরেকটি আন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশের ৬ সদস্যের দলে রোকেয়া প্রথম হয়েছেন। এতো খুশির খবরেও একটু চিন্তার ভাঁজ এ পরিশ্রমী খেলোয়ারের। চিন্তার কারণ বলতে গিয়ে রোকেয়া জানান, সরকারি ভাবে ভিয়েতনাম সফলের খরচ বহন করা হচ্ছে, তবে কিজিকিসস্থানে যে প্রতিযোগিতা হবে এখানে খেলোয়ারদের নিজ নিজ খরচ বহন করতে হবে। প্রত্যেক খেলোয়ারকে কিজিকিসস্থান যাওয়ার খরচ বাবদ ৯৫ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপরও আমার আর্থিক দিক বিবেচনা করে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৪৫ হাজার টাকা কমিয়েছে। এখনও ৫০ হাজার টাকা আমি জোগাড় করতে পারিনি, তাই আনেকটা কিজিকিসস্থান যাওয়া অনিশ্চিত ।
রোকেয়া বলেন, দেখি কি হয়, এরআগেও অনেক স্বপ্নই পূরণ হয়েছে, এবারও হয়ত টাকাটা সংগ্রহ হয়ে যাবে, কিজিকিসস্থানের মাটিতে উড়াতে পারব লাল সবুজের বিজয়ের পতাকা।
স্বপ্নজয়ী রোকেয়ার বাবা মো. মনতাজ আলী পেশায় রিক্সাচালক । এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট রোকেয়া। ছোট থেকেই খেলার প্রতি নেশা ছিল, স্কুলের খেলাধুলায় অনেক পুরস্কারই তার ঝুলিতে জমা হয়েছে।
রোকেয়ার মা শাহাজাদি বেগম বলেন, ২০০৮ সালে রোকেয়া কানসাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক খেলাধুলায় ১০০ মিটার দৌড়, মোরগ লড়াই ও উপস্থিত বুদ্ধি প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে, ৩টি পুরস্কার পেয়ে বাড়ীতে এসে আনন্দ করছিল। কিছুক্ষন পর ওর বাবা রিক্সা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে মনোক্ষুন্ন হয়ে বাড়ী আসে ও আমার কাছে রিক্সা ভালো করার জন্য টাকা চায়। সেই সময় আমার কাছে কোন টাকা ছিল না। এসময় রোকেয়া দৌড় দিয়ে এসে বলে আমার পুরস্কার ৩টি বিক্রি করে দিয়ে বাবাকে রিক্সা ভাল করে দাও। সময়ের বিবর্তনে আজ ঐ ছোট্ট মেয়েটি দেশে এবং বিদেশে স্বর্ণ জয় করলেও তার বাবার সেই পুরানো রিক্সাটি দিয়েই চলছে তাদের সংসার।
সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে রোকেয়া জানায়, অর্থের অভাবে একপর্যায়ে তার লেখাপড়ার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, এই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। এসএসসি পাশের পর ২০১৪ সালে রোকেয়া ভর্তি হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডো কারাতে একাডেমীতে। জুডো কারাতের প্রশিক্ষক বাবলুজ্জামানের কাছে হাতে খড়ি। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য ঢাকায় যায় রোকেয়া। এরপর কঠোর অনুশীলনে ধীরে ধীরে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় রোকেয়ার, একে একে আসতে থাকে সাফল্য। ১০টি স্বর্ণ পদকসহ অনেক পুরস্কারই পেয়েছেন রোকেয়া।
রোকেয়া জানান, ঢাকা কলেজে অনার্সে অধ্যায়তরত। পড়ালেখা শেষ করে একটা ভালো চাকুরী করতে চায়। আগামী অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সেন্সি মোজাম্মেল হক মিললের কাছে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন।
রোকেয়া বলেন. অলিম্পিকে অংশ নিতে পারতে আমি একটু বড় পর্যায়ে যেতে পারব, তখন আমার গ্রামের বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেব। সেই সাথে আমাদের গ্রামের মানুষগুলো চরম দারিদ্রতার মাঝে বেড়ে উঠেছে, তাদের জন্য কিছু করতে চাই আমি আগামীতে।
রোকেয়া বলেন, দেখি কি হয়, এরআগেও অনেক স্বপ্নই পূরণ হয়েছে, এবারও হয়ত টাকাটা সংগ্রহ হয়ে যাবে, কিজিকিসস্থানের মাটিতে উড়াতে পারব লাল সবুজের বিজয়ের পতাকা।
স্বপ্নজয়ী রোকেয়ার বাবা মো. মনতাজ আলী পেশায় রিক্সাচালক । এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট রোকেয়া। ছোট থেকেই খেলার প্রতি নেশা ছিল, স্কুলের খেলাধুলায় অনেক পুরস্কারই তার ঝুলিতে জমা হয়েছে।
রোকেয়ার মা শাহাজাদি বেগম বলেন, ২০০৮ সালে রোকেয়া কানসাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক খেলাধুলায় ১০০ মিটার দৌড়, মোরগ লড়াই ও উপস্থিত বুদ্ধি প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে, ৩টি পুরস্কার পেয়ে বাড়ীতে এসে আনন্দ করছিল। কিছুক্ষন পর ওর বাবা রিক্সা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে মনোক্ষুন্ন হয়ে বাড়ী আসে ও আমার কাছে রিক্সা ভালো করার জন্য টাকা চায়। সেই সময় আমার কাছে কোন টাকা ছিল না। এসময় রোকেয়া দৌড় দিয়ে এসে বলে আমার পুরস্কার ৩টি বিক্রি করে দিয়ে বাবাকে রিক্সা ভাল করে দাও। সময়ের বিবর্তনে আজ ঐ ছোট্ট মেয়েটি দেশে এবং বিদেশে স্বর্ণ জয় করলেও তার বাবার সেই পুরানো রিক্সাটি দিয়েই চলছে তাদের সংসার।
সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে রোকেয়া জানায়, অর্থের অভাবে একপর্যায়ে তার লেখাপড়ার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, এই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। এসএসসি পাশের পর ২০১৪ সালে রোকেয়া ভর্তি হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডো কারাতে একাডেমীতে। জুডো কারাতের প্রশিক্ষক বাবলুজ্জামানের কাছে হাতে খড়ি। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য ঢাকায় যায় রোকেয়া। এরপর কঠোর অনুশীলনে ধীরে ধীরে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় রোকেয়ার, একে একে আসতে থাকে সাফল্য। ১০টি স্বর্ণ পদকসহ অনেক পুরস্কারই পেয়েছেন রোকেয়া।
রোকেয়া জানান, ঢাকা কলেজে অনার্সে অধ্যায়তরত। পড়ালেখা শেষ করে একটা ভালো চাকুরী করতে চায়। আগামী অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সেন্সি মোজাম্মেল হক মিললের কাছে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন।
রোকেয়া বলেন. অলিম্পিকে অংশ নিতে পারতে আমি একটু বড় পর্যায়ে যেতে পারব, তখন আমার গ্রামের বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেব। সেই সাথে আমাদের গ্রামের মানুষগুলো চরম দারিদ্রতার মাঝে বেড়ে উঠেছে, তাদের জন্য কিছু করতে চাই আমি আগামীতে।