নাচোল প্রতিনিধি : গ্রামের নাম শ্যামপুর। এখানে প্রায় ৫০ পরিবারের বসবাস। আদিবাসী ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের মানুষের বসতি নেই এখানে। প্রত্যেকেই ভূমিহীন। অন্যের জমিতে কামলা খেটে দিনাতিপাত করেন। পুরো গ্রামজুড়ে নিদেনপক্ষে আধা বিঘা নিজস্ব জমি আছে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বসতি গেড়েছেন সরকারি খাস জমিতে। তাই নিজস্ব আশ্রয়ের জন্য সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার আশায় গ্রামের প্রত্যেকই আবেদন করেছিলেন প্রায় এক যুগ আগে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে গ্রামের প্রায় সকলেই সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় দীর্ঘ ৮ বছরেও জমি বুঝে নিতে পারেননি তারা। বরাদ্দকৃত জমিটুকু বুঝে পাওয়ার জন্য এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন তারা।
শ্যামপুর গ্রামের অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর মৌজায়। নাচোল উপজেলা সদর থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। প্রত্যন্ত অঞ্চল; যোগাযোগের জন্য কোনো পাকা রাস্তাও নেই। সরেজমিন শ্যামপুর গ্রামে গেলে সেখানকার ভূমিহীন আদিবাসীরা বন্দোবস্ত পাওয়া দলিলের কপি সাংবাদিকদের দেখান।
মৃত গোলক মাহাতোর স্ত্রী শ্রীমতি চিনি বেওয়া ৩৩ শতক, মৃত সুধির রায়ের স্ত্রী বেগম সহজ মুনি বেওয়া ৩৪ শতক, শ্রী সুসিল রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতি দিপালী রায় ৩৬ শতক, শ্রী গানু রায় ও তার স্ত্রী সেফালী রানী ৩৩ শতক এবং শ্রী জিতেন রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতি কুআসি রানী ৩৩ শতকসহ শ্যামপুর গ্রামের প্রায় ৪৯ ভূমিহীন পরিবার সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। সবমিলিয়ে বন্দোবস্ত পাওয়া মোট জমির পরিমাণ ৪৫ বিঘার বেশি। ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বন্দোবস্ত পান তারা।
শ্যামপুর গ্রামের ভূমিহীন আদিবাসীরা জানান, বন্দোবস্ত পাওয়ার পর জমি বুঝে নিতে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। জীবননাশের হুমকির ভয়ে জমির দখল থেকে সরে আসেন। কয়েক বছর আগে নাচোল থানা পুলিশ জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এলেও পরদিন দখল নিতে পারেননি। জমির দখলে থাকা প্রভাবশালীরা হুমকি দিয়ে বলেন যে, জমিতে গেলেই মেরে ফেলবে। প্রাণভয়ে ভীত ভূমিহীন আদিবাসী পরিবারগুলো আর জমির মুখো হয়নি বলেই জানান তারা।
বন্দোবস্ত পাওয়া শ্যামপুর গ্রামের মৃত ঘোজু রায়ের ছেলে ভূমিহীন গোলক রায় বলেন, ‘আমরা আদিবাসী দরিদ্র মানুষ। আমাদের পক্ষে প্রভাবশালীদের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। একমাত্র প্রশাসনই পারে প্রভাবশালীদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে আমাদের বুঝিয়ে দিতে। আমরা এখনো সে আশায় আছি।’
বন্দোবস্ত পাওয়া কাগজের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নাচোল উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কানুনগোর দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার এরফান আলী বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত এসব ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কি কারণে দখল পাননি সে বিষয়টি বোধগম্য নয়। কেননা সে সময় আমি এখানে ছিলাম না।’
বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক। তবে তিনি বলেন, ‘কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব।’
নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নাচোল ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই ৮ বছরে ভূমিহীনরা জমির দখল নিতে পারেনি বিষয়টি জেনে তিনিও অবাক হন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শ্যামপুর গ্রামের অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর মৌজায়। নাচোল উপজেলা সদর থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। প্রত্যন্ত অঞ্চল; যোগাযোগের জন্য কোনো পাকা রাস্তাও নেই। সরেজমিন শ্যামপুর গ্রামে গেলে সেখানকার ভূমিহীন আদিবাসীরা বন্দোবস্ত পাওয়া দলিলের কপি সাংবাদিকদের দেখান।
মৃত গোলক মাহাতোর স্ত্রী শ্রীমতি চিনি বেওয়া ৩৩ শতক, মৃত সুধির রায়ের স্ত্রী বেগম সহজ মুনি বেওয়া ৩৪ শতক, শ্রী সুসিল রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতি দিপালী রায় ৩৬ শতক, শ্রী গানু রায় ও তার স্ত্রী সেফালী রানী ৩৩ শতক এবং শ্রী জিতেন রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতি কুআসি রানী ৩৩ শতকসহ শ্যামপুর গ্রামের প্রায় ৪৯ ভূমিহীন পরিবার সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। সবমিলিয়ে বন্দোবস্ত পাওয়া মোট জমির পরিমাণ ৪৫ বিঘার বেশি। ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বন্দোবস্ত পান তারা।
শ্যামপুর গ্রামের ভূমিহীন আদিবাসীরা জানান, বন্দোবস্ত পাওয়ার পর জমি বুঝে নিতে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। জীবননাশের হুমকির ভয়ে জমির দখল থেকে সরে আসেন। কয়েক বছর আগে নাচোল থানা পুলিশ জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এলেও পরদিন দখল নিতে পারেননি। জমির দখলে থাকা প্রভাবশালীরা হুমকি দিয়ে বলেন যে, জমিতে গেলেই মেরে ফেলবে। প্রাণভয়ে ভীত ভূমিহীন আদিবাসী পরিবারগুলো আর জমির মুখো হয়নি বলেই জানান তারা।
বন্দোবস্ত পাওয়া শ্যামপুর গ্রামের মৃত ঘোজু রায়ের ছেলে ভূমিহীন গোলক রায় বলেন, ‘আমরা আদিবাসী দরিদ্র মানুষ। আমাদের পক্ষে প্রভাবশালীদের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। একমাত্র প্রশাসনই পারে প্রভাবশালীদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে আমাদের বুঝিয়ে দিতে। আমরা এখনো সে আশায় আছি।’
বন্দোবস্ত পাওয়া কাগজের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নাচোল উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কানুনগোর দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার এরফান আলী বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত এসব ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কি কারণে দখল পাননি সে বিষয়টি বোধগম্য নয়। কেননা সে সময় আমি এখানে ছিলাম না।’
বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক। তবে তিনি বলেন, ‘কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব।’
নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নাচোল ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই ৮ বছরে ভূমিহীনরা জমির দখল নিতে পারেনি বিষয়টি জেনে তিনিও অবাক হন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’