লিচু গাছে আম, যা বলছেন ফল বিজ্ঞানীরা

ঠাকুরগাওয়ে লিছু গাছে আম ধরেছে যা অনেকের কাছেই অবাক করার মতই। সবার কাছেই বিষয়টি কৌতুহলের। তবে যারা ফল নিয়ে গবেষনা করেন, তাদের কাছে বিষয়টি অন্য আর দশজনের মত নয়। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দিক থেকে লিচু গাছে আম হওয়ার সুযোগ নেই, লিচু গাছে হওয়া আমটিকে সাতদিন পর্যবেক্ষনের পরামর্শ তাদের। যদি আমটির গঠন বৃদ্ধি হতে থাকে, সেক্ষেত্রে এ নিয়ে গবেষনা করে দেখার সুযোগ রয়েছে। কেন ঘটেছে এমনটি। এর বৈজ্ঞানিক দিক খুজে বের করতে হবে। 


 

 

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বিভিন্ন জাত উন্নয়নসহ  গবেষনার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করা প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্র। লিচু গাছে আম ধরার বিষয়টি, সম্পর্কে এখানকার বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষন কি জানতে সেখানে গিয়েছিলাম আমরা।
প্রতিষ্ঠানটিতে পাওয়া গেল, উদ্যানতত্বের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম ইউসুফ আলীকে।  লিচু গাছে আম ধরার বিষয় সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে। তিনি জানান, ‘‘ আম ও লিচু গাছ দুটি ভিন্ন পরিবারের অন্তগত, বিষয়টি আপত দৃষ্টিতে অলৌকিক মনে হলেও, লিচু গাছের আশে পাশে আম বাগান থেকে থাকে, তবে আম গাছের পরাগ রেনু, লিচু গাছের ফুলের সাথে ক্রস হয়ে এ ধরনের কিছু হয়ে থাকতে পাওে, তবে সেটি গবেষনা করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলি আরেকজন বিজ্ঞানী, ড. সরফ উদ্দীনের সাথে, তিনিও দীর্ঘদিন আঞ্চলিক উদ্যানত্ব গবেষনা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রে কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের উদ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। 



তিনি বলেন, ‘‘গত ১৭ তারিখে বিষয়টি আমার নজরে আসে, এরপর আমি আমাদের যারা ওখানে কৃষি কর্মকর্তা আছেন, তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। আমরা যদি এর বৈজ্ঞানিক দিকটা চিন্তা করি তাহলে লিচু গাছে আম ধরার সম্ভবনা নেই, তারপরও এটা আসল না নকল এটা বোঝার জন্য আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এক সম্পাহ পরে আমটা যদি ঝরে যায়, তাহলে বুঝতে হবে কেউ কোন ভাবে আমটা ওখানে লাগিয়ে রেখেছে। আর যদি না ঝরে যায় তাহলে আমটা আস্তে আস্তে বড় হবে, তখন আমরা এ বিষয়টা নিয়ে, বা এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা কি কারনে হতে পারে সেটা খুজে দেখতে হবে।’’ 


চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকা এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক উদ্যানতত্ববিদ মো. মুজিবুর রহমান খানের কাছেও লিচু গাছে আম ধরার বিষয়টি আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে। তিনি বলছিলেন, এ যাবৎকালে এই রকম হয়েছে এমন কোন উদহারণ তার জানা নেই, তবে সেখানে গিয়ে গাছটি পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে, এ নিয়ে বিস্তর গবেষনার উদ্যোগ নিতে হবে, কারণ এটির বৈজ্ঞানিক দিক খুজে বের করা দরকার।


প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুগাছে আম ধরার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, সদর উপজেলার ছোটবালিয়া সিংগিয়া কোলনীপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান মটকি, এ লিচু গাছের মালিক। যদিও স্থানীয় মেম্বারের বিরুদ্ধে লিচু গাছটিতে থাকা আম ছিড়ে ফেলার অভিযোগ জানিয়েছে লিচু গাছের মালিক আবদুর রহমান মটকি।

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন https://bit.ly/2Oe737t কনটেন্ট চুরি আপনার মেধাকে অলস করে তুলে, আমরা এ নিন্দনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করি। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

About chapainawabganj tv

0 Comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন

src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-5331163805288347" crossorigin="anonymous">

7